• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের অংশ হিসেবে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে। ১০ জানুয়ারী রোববার দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তপাদার ও শরীয়তপুর পৌরসভার আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী পারভেজ রহমান জন।

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন,১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। জাতির জনক পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসাবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁরা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে তিনি কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।

১০ তারিখ সকালেই তিনি নামেন দিল্লিতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, প্রধান নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সে দেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’

বঙ্গবন্ধু ঢাকা এসে পৌঁছেন ১০ জানুয়ারি। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।

আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ৪৯তম বর্ষপূর্তি পালিত হচ্ছে তারই গড়া স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে গড়া সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মানবতার মা, বিশ্বনেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন দেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিনত হতে চলেছে। ক্ষুদা-দারিদ্রতার অবসান ঘটিয়ে দেশ খাদ্য উদ্ধৃত্ত দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সহ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে আপন অস্তিত্বের জানান দিতে সক্ষম হয়েছে। পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমরাও প্রত্যয় এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। উন্নয়ন অভিযাত্রার বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবেনা। ক্ষুদা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মিত হবে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।