• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে বয়স্কভাতা পাচ্ছেন ৫০ হাজার অসহায় প্রবীণ নারী-পুরুষ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

শরীয়তপুর জেলায় প্রায় ৫০ হাজার অসহায় প্রবীণ নারী-পুরুষ পাচ্ছেন বয়স্কভাতা। জেলা সমাজসেবা অধিদফতর বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে এসব ভাতা প্রদান করছেন। ঈদুল-উল-ফিতরের আগেই গত এক বছরের ভাতা পাচ্ছেন ওই অসহায় প্রবীণ নারী-পুরুষ ।

শরীয়তপুর সমাজসেবা কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলার ছয়টি উপজেলার ৬৫টি ইউনিয়নে ৫০ হাজার ৩৪৩ জন পাচ্ছেন বয়স্কভাতা। নারীদের ক্ষেত্রে ৬২ বছর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬৫ বছরের বয়স্করা পাচ্ছেন এ ভাতা। এর মধ্যে ৪৩ হাজার ৬১৮ জন নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। আর ৬ হাজার ৭২৬ জন নতুন ভাতা পাবেন । বয়স্কভাতা পরিশোধ বই’র মাধ্যমে প্রত্যেকে মাসিক ৫০০ করে টাকা পেয়ে থাকে। 

শরীয়তপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার মমতা, বয়স্কদের জন্য নিয়মিত ভাতা’। উপজেলা ও ইউনিয়নে কমিটির মাধ্যমে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা ও প্রতিবন্ধীভাতা প্রাপ্তদের তালিকা করা হয়। উপজেলায় সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সহসভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব থাকেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার। আর ইউনিয়নে সভাপতি হন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব থাকের ইউনিয়ন সমাজকর্মী। তাছাড়া একাধিক সদস্যও থাকেন।

তিনি বলেন, জেলায় ৫০ হাজার ৩৪৩ জন পাচ্ছেন বয়স্কভাতা। বিধবাভাতা পাচ্ছেন ২৫ হাজার ৮৪৩ জন এবং ১২ হাজার ১৫৬ জন পাচ্ছে প্রতিবন্ধীভাতা। এর মধ্যে প্রতিজনের বয়স্কভাতা প্রতিমাসে ৫০০, বিধবাভাতা ৫০০ ও প্রতিবন্ধীভাতা ৭৫০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার শহরের জনতা ব্যাংকটিতে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কয়েকশ প্রবীণ ভাতা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে অনেক প্রবীণ নারী-পুরুষেরা আবার অসুস্থতার কারণে ঠিকমতো বসেও থাকতে পারছেন না। তাই তাদের দুইজন আনসারের মাধ্যমে ডেকে দ্রুত টাকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যেকোনো মুহূর্তে ডাক পড়তে পারে এই উদ্বেগও আছে তাদের মাঝে।

বয়স্কভাতা নিতে আসা বিনোদপুর ইউনিয়নের  বাছারকান্দি গ্রামের বৃদ্ধ ইসমাইল ফকির (৭০) বলেন, আমি গরীব মানুষ। আগে কৃষি কাজ করতাম। এখন বয়স হওয়ার কারণে কাজ করতে পারি না। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বয়স্কভাতা দিচ্ছেন। ভাতা না পেলে না খেয়ে থাকতে হতো। তাই প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করি।

একই ইউনিয়নের বিনোদপুর বালিয়াকান্দি গ্রামের সামসুল হক মাদবর (৭৫) বলেন, এক বছরের ভাতা একসাথে ৬ হাজার টাকা পেয়েছি। খুব উপকার হলো। ব্যাংকের মানুষগুলো খুব ভালো দ্রুত ভাতার টাকা হাতে দিয়েছে।

ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই শাখা থেকে শরীয়তপুর সদরের বিনোদপুর, ডোমসার ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের ২ হাজার ৬০০ জনের মাঝে বয়স্কভাতা টাকা বিতরণ করা হয়। সাধারণত এক দিন বা দুদিনে প্রবীণ নারী-পুরুষদের এসব ভাতা দেওয়া হয়। 

শরীয়তপুর শহরের জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, এসব অসহায় মানুষের সেবা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। এই শাখার মাধ্যমে প্রবীণ নারী-পুরুষদের বয়স্কভাতা ভাতা দেওয়া হয়। ক্যাশ কাউন্টারের মাধ্যমে তাদের ভাতার টাকা দ্রুত দেয়া হচ্ছে। যাতে করে কোন বয়স্ক মানুষগুলো কষ্ট না পায়।