‘শান্তির দূত’ থেকে যেভাবে গণহত্যার কাঠগড়ায় সু চি
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯
১৯৮৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় প্রায় ১৫ বছর নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে গৃহবন্দি ছিলেন মিয়ানমারের সংগ্রামী রাজনীতিক অং সান সু চি। বন্দিদশাতেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার থেকেছেন এ নেত্রী। ফলে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন শান্তি ও সংগ্রামের অবিতর্কিত এক প্রতীক।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম ও ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পান আধুনিক মিয়ানমারের জাতির জনক অং সানয়ের কন্যা সু চি।
দীর্ঘকাল বন্দিদশায় কাটিয়ে অবশেষে ২০১০ সালে মুক্ত হয়ে নতুন উদ্দীপনায় রাজনীতির পথে হাঁটতে শুরু করেন সু চি। এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিশাল জয় পায় তার নেতৃত্বাধীন দল। সু চি হন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর।
কিন্তু ভাগ্য যেন পরিহাস করে এ নেত্রীকে। দীর্ঘ কারাবাস ও নিপীড়ন শেষে তিনি যখন দেশের নেতৃত্বে, ঠিক সে সময়ই ২০১৭ সালে দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যাযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ভয়াবহ নিপীড়ন ও সহিংসতার মুখে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে যায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
সারা বিশ্ব সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো মিয়ানমারের ওই সহিংসতার প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। সেনা অভিযান ও হত্যাযজ্ঞকালে নীরব ভূমিকার জন্য বিতর্কিত হতে শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও ‘শান্তির প্রতীক’ অং সান সু চি।
জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে শুরু করে বেশিরভাগ দেশই এ ইস্যুতে মিয়ানমারকে কাঠাগড়ায় তোলার আহ্বান জানায়। প্রস্তাব ওঠে সু চির শান্তিতে পাওয়া নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারেরও। সার্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময় তাকে দেওয়া নানান সম্মানজনক পুরস্কার, ডিগ্রি ও নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নেয় অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠান। এভাবেই দিনে দিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে থাকেন এককালের মানবাধিকারের প্রতীক সু চি ।
২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো ওই অভিযানকে ‘গণহত্যা’ উল্লেখ করে এরই মধ্যে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরে এ ইস্যুতেই ‘ইন্টারন্যাশন্যাল কোর্ট অব জাস্টিস’এ (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তিন দিনব্যাপী সেই মামলার গণশুনানি শুরু হয়েছে। ভাগ্যরে নিদারুণ পরিহাস, যে সেনাবাহিনীর হাতে একদিন বন্দি ছিলেন আজ তাদেরই দুষ্কর্মের সাফাই গাইতে সেখানে হাজির হয়েছেন সু চি। গণহত্যা সংক্রান্ত মামলায় কাঠগড়ায় ‘শান্তির প্রতীক’!
সু চিকেই কেন দেশের পক্ষে লড়তে আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির হতে হলো, এ নিয়েও বিশ্বব্যাপী বিতর্ক শুরু হয়েছে। এছাড়া সু চির বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- তার বেসামরিক সরকার সেনাবাহিনীর ‘বিদ্বেষমূলক প্রচারণা উস্কে’ দিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ‘আলামত ধ্বংস’ করেছে এবং সেনাবাহিনীর চালানো মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে করে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমার সরকারও নৃশংসতায় ভূমিকা রেখেছে বলে বলা হচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমার বরাবরই গণহত্যা বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করার জন্যই সে সময় রাখাইনে অভিযান চালায় তারা। নির্দিষ্ট কোনো সম্প্রদায়কে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে ওই অভিযান ছিল না। তাদের মতে, রোহিঙ্গারা ‘অবৈধ অভিবাসী’।
নোবেলজয়ী সু চিও এ জায়গায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে একমত। বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি। তারও দাবি, কোনো সম্প্রদায়কে নির্মূলের উদ্দেশ্যে রাখাইনে কোনো অভিযান চালানো হয়নি।
বরং সেখানে চলমান সঙ্কটকে ভুলভাবে ব্যাখ্যার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অভিযুক্ত করেন সু চি। এর আগে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাখাইনে ‘উগ্রবাদী’ রয়েছে, যারা শান্তি চায় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব উগ্রবাদের দিকে মনোযোগ না দেওয়ায় আমরা অসন্তুষ্ট।
সেনাবাহিনীকে সু চি ঠিক কী কী কারণে সমর্থন করছেন তা স্পষ্ট নয়। অনেকের ধারণা, নিজের দেশের পক্ষে অবস্থান নিতেই তিনি এটি করছেন। আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে নিজ দেশের হয়ে লড়তেই এ অবস্থান তার। এছাড়া ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলেও এ ধরনের অবস্থান নিতে পারেন সু চি।
এদিকে কেবল এবারের মতো নয়, মিয়ানমারের প্রতিনিধি হিসেবে সামনের বছরগুলোতেও গণহত্যা মামলার বিরুদ্ধে নিজের পক্ষে সাফাই গাইতে হবে সু চিকে। সব মিলিয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্ববাসীর কাছে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে নিজের পূর্ব অবস্থান হারিয়ে ফেলেছেন এ নেত্রী। ধসে পড়েছে তার আগেকার সেই অবস্থান।
২০১৭ সালে গোটা বিশ্ব রাখাইনে সমকালের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক গণহত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ‘জেনোসাইড’ বা গণহত্যার মামলা করে গাম্বিয়া। জরুরি ভিত্তিতে এ মামলার বিচারকাজ শুরুর দাবি তাদের। রোহিঙ্গারা যেন আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এ মামলার পরও ন্যায়বিচার পেতে আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে রোহিঙ্গাদের। চূড়ান্ত রায় দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বছরের পর বছর সময় নেন। কিন্তু আদালত চাইলে যে কোনো ধরনের অন্তর্বর্তী আদেশ দিতে পারেন। মিয়ানমারের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন।
গাম্বিয়ার করা এ মামলার সূত্রে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তেমনই কোনো অন্তর্বর্তী আদেশ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নতুন করে চাপের মুখে পড়তে পারে দেশটি।
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- স্বনির্ভর দেশ গড়তে প্রাণী সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হবে : শামীম
- প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে
- বরিশালে ২০ জেলে ও ২ নৌযান আটক
- গৌরনদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা
- সারাদেশে ইন্টারনেটের ধীর গতি
- ইস্টার্ন ব্যাংকে নারী-পুরুষ নিয়োগ, চাকরির ধরন ফুল টাইম
- কমলো হজের খরচ
- হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ শুরু
- প্রাথমিক শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলি আবেদনের সুযোগ
- চেন্নাইয়ের হার ঠেকাতে পারলেন না মুস্তাফিজ-পাথিরানা
- তীব্র তাপপ্রবাহে প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার সব বিধিনিষেধ তুলে নিলো কুয়েত
- ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন ধর্ষকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী
- শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে
- বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- রুমা সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, আতঙ্ক
- শান্তিচুক্তির অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরল বাংলাদেশ
- আরও তিন দিন থাকবে তাপপ্রবাহ, কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ
- মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা: জাতিসংঘ
- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
- সারা দেশে হিট অ্যালার্ট জারি
- হজের আগে ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ জানাল সৌদি
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল বিজয়ী
- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী
- স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- বরিশালে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে অলোচনা সভা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
- শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন
- ভেদরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ ব্যাপক আবাদ
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
- গোসাইরহাটে ৪০০ কেজি জাটকাসহ আটক ৪
- ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খান এই ৫ পানীয়
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু বেনাপোল বন্দরে
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী