• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শিশুশিক্ষায় ইসলামের দিকনির্দেশনা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

০১. শিশুদের মন কাদা ও উর্বর মাটির ন্যায়। তাই তাদের কচি-কোমল হৃদয়ে তাওহিদ তথা আল্লাহর একত্ববাদ, ইসলামের সুমহান আচরণবিধি, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, লেনদেন পদ্ধতি, সামাজিক ও ধর্মীয় নীতিমালার বীজ সুন্দর ও সহজভাবে বপন করতে হবে।

০২. এরপর শিশুদের প্রথম যে শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, তা হলো আল-কুরআনের শিক্ষা। কেননা কুরআনের শিক্ষা ব্যতীত কেউ প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারে না।

০৩. যেহেতু শিশুদের মন-মানসিকতা ও রুচি ভিন্ন, সেহেতু তাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে, তাদের রুচিসম্মত পদ্ধতিতে শিক্ষা দিতে হবে।

০৪. শিশুদের মন-মানসিকতায় প্রচণ্ড আঘাত ও ক্ষত সৃষ্টি করে এমন ধমক দেওয়া যাবে না।

০৫. আদর-সোহাগ, স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা, মাতৃ ও পিতৃত্বসুলভ আচরণে যত্নসহকারে লালন-পালনের মাধ্যমে শিক্ষাদান করতে হবে।

০৬. হতাশ ও নিরাশ করার পরিবর্তে আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মনোবল দৃঢ়-মজবুত হয় এমন কথা-কাজ ও বাণী শিক্ষা দিতে হবে।

০৭. শিশুদের শরয়ি কারণ ব্যতীত অহেতুক প্রহার করা যাবে না। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানি (রাহি.) বলেন : ‘শিশুদের প্রহার করা অবৈধ, তাদের আদর করা আবশ্যক।’ [ফাতাওয়া জাদ্দাহ ২৬]

০৮. শিশুদের সালাতের উপদেশ ও নির্দেশ দিতে হবে, বয়স দশ হলে বিছানা আলাদা করে দিতে হবে, আর ন্যায়সঙ্গত কারণে বা আদব শিক্ষা দেওয়ার জন্যে মৃদু প্রহার করা যেতে পারে। আমর ইবনু শুয়াইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদেরকে সালাতের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স দশ বছর হয়ে যাবে তখন (সালাত আদায় না করলে) এজন্য তাদেরকে মারবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে। [তাহকিক আবু দাউদ : ৪৯৫, আহমাদ : ৬৭৫৬]

শিশুরা আমাদের ওপর বা প্রতি মহামহিম আল্লাহর পক্ষ থেকে আমানত। এ আমানতের যথাযথ সংরক্ষণ, সদ্ব্যবহার, প্রকৃত করণীয় সম্পর্কে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রেখে সম্মুখপানে অগ্রসর হতে হবে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সকলকে সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।