• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

সম্পত্তির ভাগ পেতে শর্মিলার দৌঁড়,পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তারেক রহমান

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০১৯  

 

প্রায় এক বছর পর পুত্রবধূ ও দুই নাতনিকে নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে ২০১৮ সালের কোরবানির ঈদে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তার দুই কন্যা জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানসহ আত্মীয়স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে কিছু সময়ের জন্য সময় কাটিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে ওই সময় তিনি ছিলেন পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে।

জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট ঈদুল আজহার দিন কারা-কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে দুই মেয়ে ও পরিবার পরিজন নিয়ে দেখা করেছেন পুত্রবধূ সিঁথি। ঈদ উপলক্ষে খালেদা জিয়ার পছন্দের নানান খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন সিঁথি। যা এর আগে খুব একটা চোখে পড়েনি। এমন প্রেক্ষাপটে গুঞ্জন উঠেছে, খালেদা জিয়ার প্রিয় খাবারের তালিকা থেকে বিশেষ বিশেষ আইটেম নিয়ে পুত্রবধূর সাক্ষাৎ বিশেষ উদ্দেশ্যে। কেননা, শর্মিলা রহমান সিঁথি মূলত ঢাকায় এসেছেন কোকোর পাওনা সম্পত্তির ভাগ বুঝে নিতে।

যদিও গত ৪ আগস্ট শর্মিলা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলে বেগম জিয়া জানান জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কোকো’র সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ করে প্রাপ্য সম্পত্তি শর্মিলাকে বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু শর্মিলা রহমান চায় এখনই সম্পত্তি বুঝে পেতে।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, খালেদা জিয়া কখনোই শর্মিলাকে তার পুত্র কোকো’র প্রাপ্য সম্পত্তির ভাগ সরাসরি দেবেন না। বরং কোকো’র মেয়েদের নামে হয়তো তিনি দীর্ঘমেয়াদে ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে পারেন। এখনও বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তবে এটি নিশ্চিত যে, ঈদের দিন পছন্দের খাবার নিয়ে কারাগারে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করে জাফিয়া রহমানকে ব্যবহার করেছেন শর্মিলা। খালেদা জিয়া কোকোর মেয়ে জাফিয়া রহমানকে খুব ভালোবাসেন। এ কথা জেনেই ঈদে শর্মিলা ভালো মন্দ রান্না করে খালেদা জিয়াকে খাইয়ে মেয়েকে নিয়ে কৌশল করেছেন।

লন্ডনে বিএনপির সংস্কারপন্থী একজন নেতা বলেন, শর্মিলার মতিগতি বোঝা যাচ্ছে না। শর্মিলার মূল উদ্দেশ্য- নিজের কথায় কাজ না হওয়ায় নাতনিকে ব্যবহার করা। নাতনি জাফিয়াকে খালেদা জিয়া খুব ভালোবাসেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, জাফিয়া রহমানের কথা রাজি হয়ে খালেদা জিয়া হয়তো এখনই কোকোর সম্পত্তির ভাগ শর্মিলাকে দিয়ে দিতে পারেন। ঈদের দিন কারাগারে ম্যাডামের সঙ্গে শর্মিলা ও জাফিয়ার কী ধরণের কথা হয়েছে তা এখনই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি স্পষ্ট হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে।

সংস্কারপন্থী এই নেতা জানান, তারেক রহমান শর্মিলার গতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী কী করা যায় তা স্থির করবেন তিনি। তবে শর্মিলার পদক্ষেপগুলোতে মোটেই খুশি নন তিনি।