সু চির অস্বীকার: রোহিঙ্গারা বললেন ‘মিথ্যুক’
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করেছেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি।
নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে তিনি এ দাবি করেন। এ সময় তিনি অতীতের মতো যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেন এবং বিষয়টিকে তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শুনানির দ্বিতীয় দিনে মিয়ানমারের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি বলেন, মামলার বাদী গাম্বিয়া গণহত্যার বিষয়ে অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য তুলে ধরেছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নিলেও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ওপর দায় চাপান তিনি। বলেন, স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে শায়েস্তা করতেই ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী রাখাইনে অভিযান চালিয়েছিল।
সু চির এমন বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। সু চিকে ‘মিথ্যুক’ বলে তারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোনো শিবিরে বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পারেননি তারা।
নোবেল শান্তিপুরস্কার জয়ী এ রাজনীতিক এবারই প্রথম নয়, এর আগেও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বারবার বক্তব্য দিয়েছেন। জাতিগত ঘৃণাও ছড়িয়েছেন একাধিকবার।
দীর্ঘ ১৫ বছর গৃহবন্দি থাকার পর ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া মিয়ানমারের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা জেনারেল অং সানের মেয়ে অং সান সু চি ছিলেন বিতর্কের উর্ধ্বে থাকা গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইয়ের প্রতীক। দাও সু (চাচী সু) নামে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত এ নেত্রী ছিলেন মিয়ানমারের সব জাতিগোষ্ঠী ও শ্রেণীর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এক নাম।
২০১২ সালে মিয়ানমারের উপ-নির্বাচনে অন্যদের মত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সমর্থনে মিয়ানমারের সংসদে প্রবেশ করেন অং সান সু চি। দীর্ঘদিন জাতিগত বিদ্বেষে জর্জরিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশায় বুক বেঁধেছিল, মিয়ানমারের সংসদে হয়তো তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য কেউ এসেছেন।
কিন্তু তাদের এ ভুল ভাঙতে দেরি হয়নি বেশিদিন।
২০১২ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা বিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সম্পূর্ণ নীরব থাকেন অং সান সু চি। এসময় টিভি সাংবাদিকদের কাছে এক সাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক কিনা তিনি জানেন না।
২০১৭ সালের রাখাইনে কথিত রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনীর অভিযানের পর অং সান সু চির প্রতিক্রিয়ায় বিস্মিত হয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সামরিক বাহিনীর গণহত্যায় মিয়ানমানের গণতন্ত্রের প্রতীক খ্যাত এ নেত্রী শুধু নীরবই থাকেননি, পাশাপাশি রাখাইনে সামরিক বাহিনীর অভিযানকে তিনি যৌক্তিক প্রমাণেরও চেষ্টা চালান।
এ সময় বিবিসির কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিশ্চিহ্নকরণ চলার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, রাখাইনে চলমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যায় ’জাতিগত নিশ্চিহ্নকরণ’ বেশি জোরদার এক শব্দ।
রোহিঙ্গা নিধনে সু চির এরূপ ভূমিকায় বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
শান্তিতে পাওয়া সু চির নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার দাবিতে অনলাইনে এক পিটিশনে চার লাখের বেশি লোক স্বাক্ষর করেছেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন সময় সুচিকে দেওয়া যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিলের ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’, যুক্তরাষ্ট্রের হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের এলি উইজেল অ্যাওয়ার্ড, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অ্যাম্বাসেডর অব কনশেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রত্যাহার করে নেয় পুরস্কার দানকারী কর্তৃপক্ষ।
২০১৮ সালের অক্টোবরে কানাডায় অং সান সুচির সম্মানজনক নাগরিকত্ব দেশটির পার্লামেন্টের সদস্যদের সিদ্ধান্তে বাতিল করা হয়।
বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও বিভিন্ন সময় রাখাইনের পরিস্থিতি অস্বীকার করায় সু চির সমালোচনা করেছেন।
নোবেল শান্তিপুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু সুচির প্রতি এক খোলা চিঠিতে লিখেন, ‘যদি মিয়ানমারের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কার্যালয়ের আসন আপনার নিরবতার কারণ হয়, তবে তার মূল্য সত্যিই বেশি চড়া।
এ দিকে হেগে চলমান রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণের আগে অং সান সু চিকে রাখাইনে রোহিঙ্গা বিরোধী গণহত্যার বিষয় স্বীকার করে নেওয়ার জন্য ১০ ডিসেম্বর এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন শান্তিতে সাত নোবেল বিজয়ী।
ইরানের শিরিন ইবাদি, লাইবেরিয়ার লেমাহ গবোই, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান, উত্তর আয়ারল্যান্ডের মাইরেড মাগুয়ের, গুয়েতেমালার রিগোবার্টা মেনচ তুম, যুক্তরাষ্ট্রের জোডি উইলিয়ামস ও ভারতের কৈলাশ সত্যার্থীর স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে তারা রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার বিষয় সুচির ক্রমাগত অস্বীকার করে আসার বিষয়ে উদ্বেগ জানান।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার অভিযোগে রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযানে নামে দেশটির সামরিক বাহিনী।
জাতিসংঘের বর্ণিত ‘পাঠ্যবইয়ের উদাহরণযোগ্য জাতিগত নিশ্চিহ্নকরণে’র এ অভিযানে ২৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন থেকে বাঁচতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
রোহিঙ্গা বিরোধী এ আগ্রাসনের বিষয়ে এ বছর ১১ নভেম্বর আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আদালতে এ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- রোজার নিয়ত কী, এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- বরিশালে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে অলোচনা সভা
- শরীয়তপুরে প্রথমবার মৌরি চাষ
- শরীয়তপুরে নদী থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
- শরীয়তপুরে কাভার্ড ভ্যান-নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৬
- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- রোজার মাসে সুস্থ থাকতে হৃদরোগীরা যা করবেন
- জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে শরীয়তপুরে নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত
- চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
- শরীয়তপুরে মানব পাচার হতে উদ্ধারকৃত ৫০০ জনের কর্মসংস্থান হবে
- র্যাব সব সময় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
- চিকেন পক্স হলে যা করবেন, যা করবেন না
- শরীয়তপুরে জাতীয় পাট দিবস পালিত
- উপজেলা নির্বাচনও আমরা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করবো
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইতিহাস গড়তে নামছে শান্তবাহিনী
- মানবপাচারকারী চক্রের দুই সদস্য আটক
- বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মোদীর চিঠি
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান