• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের বিশেষ ফজিলত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯  


 
একদিন জিবরাঈল (আ.) নবিজির কাছে বসা ছিলেন। হঠাৎ প্রচন্ড একটি শব্দ শোনা গেলো। জিবরাঈল (আ.) নিজের মাথা উচু করে বললেন, এটা আকাশের সেই দরজা খোলার শব্দ যা আজকের পূর্বে আর কখনও খোলা হয়নি। সেই দরজা দিয়ে একজন ফিরিশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন, যিনি ইতোপূর্বে আর কখনও পৃথিবীতে আগমন করেননি। সে ফিরিশতা নবিজির কাছে এসে বললেন, ‘আপনার জন্যে দুটো নুরের সুসংবাদ রয়েছে। ১. সুরাতুল ফাতিহা এবং ২. সুরা বাকারার শেষ দুটো আয়াত। যা আপনার পূর্বে অন্য কোনো নবিকে প্রদান করা হয়নি। সুরা ফাতিহা এবং সুরা বাকারার শেষ দুটো আয়াত থেকে একটি অক্ষরও পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে আপনি যা কিছু প্রার্থনা করবেন তা প্রদান করা হবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ৮০৬]

নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবিজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা আসমান-জমিন সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে একটি কিতাব লিখেছেন। সেই কিতাব হতে তিনি দু‘টি আয়াত নাযিল করছেন। সেই দু‘টি আয়াতের মাধ্যমেই সুরা আল-বাকারা সমাপ্ত করেছেন। যে ঘরে তিন রাত এ দু‘টি আয়াত তিলাওয়াত করা হয় শয়তান সেই ঘরের নিকটেও আসতে পারে না।’ [সুনানুত তিরমিযি : ২৮৮২] 

এক ব্যক্তি আরয করল, ‘হে আল্লাহর নবি! কুরআনের কোন্ আয়াত এমন, যার বরকত আপনার ও আপনার উম্মাতের কাছে পৌঁছতে আপনি ভালবাসেন?’ নবিজি (সা.) বললেন, সুরা আল-বাকারার শেষাংশ। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাঁর আরশের নীচের ভাণ্ডার হতে তা এ উম্মতকে দান করেছেন। দুনিয়া ও আখিরাতের এমন কোন কল্যাণ নেই যা এতে নেই। [মিশকাতুল মাসাবিহ : ২১৬৯] 

জুবাইর ইবনু নুফাইর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সুরা আল-বাকারাকে আল্লাহ তায়ালা এমন দু’টি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন, যা আমাকে আল্লাহর আরশের নীচের ভাণ্ডার হতে দান করা হয়েছে। তাই তোমরা এ আয়াতগুলো শিখবে। তোমাদের স্ত্রীদেরকেও শিখাবে। কারণ এ আয়াতগুলো হচ্ছে রহমত, (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের উপায়। (দীন দুনিয়ার সকল) কল্যাণলাভের দুয়া। [মিশকাতুল মাসাবিহ : ২১৭৩]

সাইয়িদুনা আলি (রা.) বলেছেন, ‘এটা আমার জানা নেই, উপযুক্ত বয়সের এবং জ্ঞান-বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন কোনো মুসলমানদের মধ্যে এমন কেউ রয়েছে যে, রাতে ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসি এবং সুরা বাকারার শেষ দুটো আয়াত তিলাওয়াত করে না।’ [তাফসির ইবনু কাসির, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৭৩৫]

বদরি সাহাবি আবু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুরা বাকারার শেষে এমন দু’টি আয়াত রয়েছে, যে ব্যক্তি রাতের বেলা আয়াত দু’টি তিলাওয়াত করবে তার জন্য এ আয়াত দু’টোই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাতে কুরআন মাজিদ তিলাওয়াত করার যে হক রয়েছে, কমপক্ষে সুরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত তিলাওয়াত করলে তার জন্য তা যথেষ্ট।’ [সহিহ বুখারি : ৪০০৮]