• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

সেই খাতুন নেছার পাশে জেলা প্রশাসক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: ঘর নেই, সরকারি সাহায্যও পান না- সেই খাতুন নেছার পাশে দাঁড়িয়েছেন শরীয়তপুরের  জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। আজ মঙ্গলবার (৪ মে) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে এলাহি নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা নিয়ে হাজির হন খাতুন নেছার জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরে। এসময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান, পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাসুদ পারভেজ লিটন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, অসহায় খাতুন নেছার সংবাদটি আমি দেখেছি। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া তার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থাও করা হবে। আমি খাতুন নেছার সকল সহযোগিতায় পাশে থাকবো।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ডামুড্যা গ্রামে বাড়ি অসহায় খাতুন নেছার (৯০)। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে।

জানা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর শোক সইতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন খাতুন নেছা। কোথায় যেন নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এদিকে মা নিখোঁজ হওয়ায় তার একমাত্র ছেলে যতটুকু জমি ছিল বাড়িসহ বিক্রি করে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে গিয়ে মায়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি তিনি।

২৫ বছর আগে খাতুন নেছার স্বামী আলী আহমেদ মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর শোক সইতে না পেরে খাতুন নেছা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এর পর নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। নিখোঁজের ১৪ বছর পর তার সন্ধান মেলে। মেয়ে সাহার বানু মাকে উদ্ধার করে নিজের কাছে রাখেন। সাহার বানুর সংসারেও অভাব। মাকে নিয়ে অনেক কষ্টে আছেন তিনি।

খাতুন নেছা এক বছর বয়স্ক ভাতা পেয়েছেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তিন বছর ধরে তাও বন্ধ। বার্ধক্যের কারণে হাতের আঙুলের রেখা অস্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই আঙুলের ছাপ না দিতে পারায় পাচ্ছেন না জাতীয় পরিচয়পত্রও। আর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় মিলছে না ভাতাসহ অন্যান্য সরকারি সহযোগিতা।

খাতুনের মেয়ে সাহার বানু অতি দরিদ্র। এরপরও গর্ভধারিণী মা ও বৃদ্ধ স্বামী আবু ব্যাপারীকে ভিক্ষা করে খাওয়ান তিনি। তাছাড়া সাহারার ছেলেরাও মাঝে মধ্যে কিছু দেন। তাদের দিন কাটে অনাহারে অর্ধাহারে। বার্ধক্যের কারণে হাঁটতে পারেন না খাতুন নেছা। থাকছেন একটি জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরে। বৃষ্টি এলে ঘরে পানি ঢুকে হয়ে যায় স্যাঁতসেঁতে।