• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সোনায় মোড়া ছয় তারকা হোটেল, ভাড়ায় চমক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২০  

সোনায় মোড়া টয়লেট, প্লেট, আসবাবপত্রের খবর শুনেছেন বিশ্ববাসী। সেই খবরগুলো অবাক করার মতোই ছিল। এবার আরো বিশাল অবাক করার খবর হচ্ছে সোনায় মোড়ানো ছয় তারকা হোটেল শিগগিরই সেবা প্রদানের কাজ শুরু করবে। এরইমধ্যে সোনায় মোড়া হোটেল সম্পর্কে জেনে সেবা গ্রহণ ও ঘুরে আসতে অনেকের মন উদগ্রীব হয়ে আছে। এখন করোনাভাইরাস পথের কাঁটা হিসেবে বসে আছে। নতুবা এতদিনে চকচক করা সোনার ভবনের হোটেলে গিয়ে মনের আকাঙ্ক্ষা মেটাতেন উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও।

চকচকে সোনায় মোড়ানো ছয় তারকা হোটেল ভিয়েতনামে তৈরি করা হয়েছে। এটিকে  World's First Gold Plated Hotelহিসেবে দেখা হচ্ছে। তাই জেনে নিন ডলস হানোই গোল্ডেন লেক নামের সোনায় মোড়া হোটেল সম্পর্কে।

বিশ্বের সর্বপ্রথম ভিয়েতনামের রাজধানী হানোইতে সোনার প্লেটে নির্মিত হোটেল তৈরি হয়েছে। ২০০৯ সালে হোটেলটির কাজ শুরু হয়। সেই কাজ চলতি বছরের শেষ দিকেই পুরোপুরি নির্মিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হোটেলটি ফাইভ স্টারের বেশি। অর্থ্যাৎ সিক্স স্টার বা ছয় তারকা হোটেল। এটি Dolce Hanoi Golden Lake নামে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।

 

সোনার হোটেলের ভেতরের দৃশ্য।

 

সোনায় মোড়ানো হোটেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। হোটেলের ভেতর ও বাইরে ব্যবহৃত হয়েছে ২৪ ক্যারেটের সোনা। তবে সোনার পাতে পুরো হোটেল নির্মিত হলে কী হবে, হোটেলের টয়লেট সিট থেকে শুরু করে লবি, ইনফিনিটি পুল, রুম এমনকি বাথরুমের শাওয়ারের মাথাটিও সোনায় তৈরি। হোটেলে কোনো গেস্ট কফি খেতে চাইলে, তাকে সোনার কাপেই কফি পরিবেশন করা হবে।

সোনায় মোড়া হোটেল ভিয়েতনামের রাজধানী হানোইয়ের অন্যতম ট্যুরিস্ট আকর্ষণ। হোটেলের কাজ পুরোপুরি শেষ হতে কিছুদিন বাকি আছে। কিন্তু বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই পর্যটকেরা হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে ভিড় করছেন। হোটেলটি হানোইয়ের বা দিন জেলার গিয়াং ভো লেকের এক্কেবারে ধারেই তৈরি হয়েছে।

'ডলস হানোই গোল্ডেন লেক' নামের হোটেলটি তৈরি করেছে ভিয়েতনামের প্রসিদ্ধ হোয়া বিন গ্রুপ। হোটেলটির ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব সামলাচ্ছে আমেরিকান সংস্থা উইনধাম হোটেল গ্রুপ।

হোটেলটির ভেতর ও বাইরেও ৫০০০ বর্গমিটারের সেরামিক টাইলস বসানো রয়েছে। সম্পূর্ণ সোনা দিয়েই এ ধরনের টাইলস নির্মিত হয়। সোনার পাতে মোড়া হোটেলের ভবনে রয়েছে মোট ২৫টি তলা। আর ইমিউনিটি পুলটি রয়েছে একেবারে রুফটপে। তবে হোটেলের ঘরগুলো যেমন সোনায় মোড়া, তেমনই আবার বাথরুম থেকে পুল সবই সোনার প্লেটে তৈরি। কাপ থেকে শুরু করে খাবার-দাবার সোনার পাত্রেই পরিবেশন করা হয় হোটেলটিতে। তবে তার থেকেও চিত্তাকর্ষক বিষয়টি হল হোটেলের যাবতীয় সব আসবাবপত্রই সোনায় তৈরি করা হয়েছে।

 

পড়ন্ত বিকেলে সূর্যের রঙের সঙ্গে সোনায় মোড়ানো ভবনের অপরূপ দৃশ্য।

 

সোনার হোটেলে রাত কাটানো খবর হয়তো সোনার চেয়ে দামি হবে। তবে ওই হোটেলটির ভাড়া সহনীয় মনে হচ্ছে। 'ডলস হানোই গোল্ডেন লেক' হোটেলে রুম ভাড়া শুরু হচ্ছে ২৫০ মার্কিন ডলার থেকে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়েছে। 

এ পরিমাণ টাকা তেমন নয়, কারণ ভারত, বাংলাদেশের মতো দেশে এর চেয়ে বেশি দামের হোটেলে বসবাস করা হচ্ছে। এমনকি সোনায় মোড়ানো হোটেলে আপনি অ্যাপার্টমেন্টও ভাড়া নিতে পারবেন। অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া অনেক। সেক্ষেত্রে ৬৫০০ মার্কিন ডলার খরচ হবে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ লাখ টাকার বেশি হবে।

হোটেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, হোটেলটি শুধু উচ্চবিত্তদের কথা চিন্তা করে তৈরি করা হয়নি। মধ্যবিত্তরাও হোটেলটিতে ঘুরতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া তো অবশ্যই সশরীরেও এই হোটেলে মানুষ চেক ইন করুক।

হোটেলের নির্মাতা সংস্থা হোয়া বিন গ্রুপের চেয়ারম্যান এনগ্যুয়েন হু ডুয়োং বলছেন,  আমাদের গ্রুপেরই একটি ফ্যাক্টরি রয়েছে যেখানে আমরা খুব সস্তায় নানা ধরনের সোনার জিনিসপত্র বানাই। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সোনায় মোড়া এই হোটেলে থাকার খরচ কম।

তবে করোনা আবহে যে, তাদের ব্যবসা রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে, সে কথাটাও স্বীকার করে নিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই সংকটজনক পরিস্থিতি একবার চলে গেলে আবার ঘুরে দাঁড়াবেন তারা। সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী 'ডলস হানোই গোল্ডেন লেক' (Dolce Hanoi Golden Lake) কর্তৃপক্ষ।