• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

স্থাপনার সঙ্গে প্রকৃতিকে রেখে উন্নয়ন করতে চাই : গণপূর্তমন্ত্রী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আমরা স্থাপনা নির্মাণের সাথে সাথে প্রকৃতিকে অবিকৃত রেখে দেশের উন্নয়ন করতে চাই। এজন্য আলোচ্য প্রকল্প দুটি নেয়া হয়েছে। প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করে আমরা শহর গড়ে তুলবো।’

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশনের (সিআরবিসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে না পারলে তা আমাদের কাজে আসবে না। এজন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি, একটি বাড়ি এমনকি সেটা যদি গ্রামেও হয় তা হতে হবে পরিকল্পিত। স্মার্ট সিটিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলা হয়। এ কাজে সিআরবিসিকে আমাদের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে। আমি আশা করি তারা সবটুকু আন্তরিকতা নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। আমরা একশ বছর পরের ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছি। শুধু আজকের জন্যই নয়, আমরা একশ বছর পরের স্বপ্ন দেখছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার এ অসাধারণ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন নিশ্চিত করছে। বিশ্ব বিখ্যাত দেশসমূহের নেতৃবৃন্দ এখন বলেন, কিছু শিখতে চাইলে, দেশকে উন্নত করতে চাইলে বাংলাদেশে যেতে হবে এবং শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখতে হবে।’

রেজাউল করিম বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। আমরা সবসময় চীনা কোম্পানি ও চীন সরকারকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে স্বাগত জানাই। ইতোমধ্যে চীনা কোম্পানি ও চীন সরকার অনেক অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে। চট্রগ্রামে চীনা কোম্পানি টানেল নির্মাণ করছে। সিআরবিসি আলোচ্য প্রকল্প ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য, এমনকি যাদের জমি নেই তাদের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকার তৃণমূল গ্রামীণ জনপদ থেকে রাজধানী পর্যন্ত সবার আবাসন নিশ্চিত করতে কাজ করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পুরো জাতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বের জনগণের জন্য আমাদের কর্তব্য রয়েছে। কারণ সারা বিশ্ব আজ গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। আমি প্রত্যাশা করি বিশ্বের সকল জনগণের জন্য সমতার পৃথিবী গড়ে উঠবে। যারা আশ্রয়হীন, গৃহহীন তাদের সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আজহারুল ইসলাম খান এবং সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ।

আরও বক্তব্য রাখেন করেন চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সুন ইয়োগুও। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তুরাগ নদের বন্যা প্রবাহ অঞ্চল সংরক্ষণ এবং কমপ্যাক্ট টাউনশিপ উন্নয়ন প্রকল্প ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রস্তাবিত ওয়াটারফ্রন্ট স্মার্ট সিটি প্রকল্পের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশনের মধ্যে আলোচ্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

রাজউকের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশনের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী সুন ইয়োগুও।

আলোচ্য সমঝোতা স্মারকের আওতায় চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে এক বছরের মধ্যে উল্লিখিত প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও পরিবেশগত সমীক্ষা কাজ সম্পাদন করবে। চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশন সম্ভাব্যতা যাচাই ও পরিবেশগত সমীক্ষা কাজ শেষে উল্লিখিত প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।