• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

স্পেনের বিক্রি হচ্ছে গ্রাম, কিনলেই নাগরিকত্ব

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯  

ছোট ছোট ৩ হাজার ৫শ’ ৬২টি গ্রাম। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর প্রতিটি গ্রাম নিজ নিজ সৌন্দর্যে তুলনাহীন। কোনোটি পাহাড়ের কোলে, আবার কোনোটি পাহাড়ের উপরে। সবুজে ভরপুর সমতলেও রয়েছে ছোট ছোট ঘরবাড়ি। সেগুলোর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা ছোট নদী। বার্তা ২৪

তবে ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামগুলো বর্তমানে পরিত্যক্ত। জনমানুষহীন গ্রামগুলোর সৌন্দর্যেও তাই ভাটা পড়েছে। জীবিকার তাগিদে বা বিশ্বায়নের ধুম্রজালে নিজেকে হারিয়ে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে যেতে শুরু করেন শহরে। শহরগামীদের সংখ্যা একের পর এক বাড়তেই থাকে। নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যান সেখানকার অধিবাসীরা।

অনেকে ফিরেও আসতেন মাঝে মাঝে জন্মভূমির টানে। অভিবাসী বাবা-মায়েরা সঙ্গে নিয়ে আসতেন শহরে জন্ম নেয়া সন্তানদেরও। কিন্তু আগের প্রজন্ম আর নতুন প্রজন্মের মধ্যে গ্রামের প্রতি টান এক রকম নয়।

শহুরে নাগরিক জীবনের নিত্য ব্যস্ততায় জন্মভূমির সঙ্গে টান হালকা হতে থাকে অনেকেরই। গ্রামে যাওয়া ছেড়েই দেন তারা। গ্রামগুলো তাই একে একে হতে থাকে জনশূন্য। হয়ে পড়ে পরিত্যক্ত।

সুন্দর ওই গ্রামগুলোকে জীবন দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয়রা, সহায়তা করছে সরকারও। আগের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে বিক্রি হচ্ছে স্পেনের ওই গ্রামগুলো। স্পেনের গালিসিয়া, কাসতিলা লিও, অ্যারাগন ও আসতুরিয়াস অঞ্চলে অবস্থিত গ্রামগুলো।

গালিসিয়ার গ্রামগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন রোসি কস্তোয়া। গালিসিয়ান কাউন্টি হোমসের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানান, গালিসিয়ার মাটি তার হৃদয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রামগুলো জনমুখরিত করার তাড়না বোধ থেকেই তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন দেশি-বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার।

এ গ্রামগুলো কিনতে পারে যেকোনো দেশের নাগরিক। একই সঙ্গে ক্রেতা পেতে পারে স্পেনের নাগরিকত্বও। এতে গ্রামগুলো যেমন ফিরে পাবে প্রাণ-চাঞ্চল্য, তেমনি সংকটে পড়া স্পেনের অর্থনীতিও দেখবে শুভ দিন।

এরই মধ্যে অনেকে অবকাশ জীবন কাটানোর জন্য, আবার অনেকে পর্যটন ব্যবসার জন্য কিনছে গ্রামের বাড়িগুলো। আগ্রহী ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই আরবের ও রুশ বিনিয়োগকারী।

পরিত্যক্ত গ্রামগুলোর বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের একটি আলদেয়াস অ্যাবানদোনাদাস। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে বিক্রি করেছে প্রায় ৪০টি গ্রাম। ক্রেতাদের ৯০ শতাংশই বিদেশি।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক পেপে রদিল বলেন, এখানে বাড়িঘর কিনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ আসছে।