• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

৭ মার্চে ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ- নাহিম রাজ্জাক এমপি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক বলেছেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ যে ভাবে বিশ্বের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে তার উদাহরণ দ্বিতীয়টি নেই। একটি মাত্র ভাষাণ একটি জাতির ভাগ্য পরির্বতন করেছে। স্বাধীনতার স্মারক হয়ে রয়েছে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ কেবল একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতাই নয়, এটি বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।

তিনি আজ ৭ মার্চ রবিবার ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৭ মার্চের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সাথে পাকিস্তান সরকাররে নির্যাতন-নিপীড়নরে বিরুদ্ধে পুরো জাতিকে সোচ্চার করে মুক্তির সংগ্রামে উজ্জীবীত করেছিলেন।

নাহিম রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র এই ৭ মার্চের ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর মুখে উচ্চারিত এই ভাষণ সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে শুধু ঐক্যবদ্ধই করেনি তাদরে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার মন্ত্রেও দীক্ষিত করেছিলেন। কারণ এই ভাষণই ছিল মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণরে গুরুত্ব বহুমাত্রিক। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বিচার করলওে এ ভাষণ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে পরিগণিত হয়, যার মধ্যে নিহিত রয়েছে মুক্তি স্বাধীনতা, অত্যাচারীদের শোষণ থেকে স্বপ্নরে স্বাধীন বাংলাদশে গড়ার প্রত্যয়। কেউ কেউ এ ভাষণকে আব্রাহাম লিংকনরে গেটসির্বাগ অ্যাড্রসে (১৮৬৩) বা মার্টিন লুথার কিং জুনয়িররে ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’-এর সঙ্গে তুলনা করনে।

কী নেই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালি জনগোষ্ঠীর বঞ্চনার ধারাবাহিকতার করুণ ইতিহাস আছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আবেগ, মুক্তি পাগল বাঙালির রক্ত ঝরানো নির্মম স্মৃতি এবং গণতান্ত্রিক প্রত্যাশার ন্যায্যতা, আছে র্ধম-র্বণ নির্বিশেষে সব মানুষের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার প্রকাশ এবং যুক্তির জোরালো উপস্থিতি এ সবকিছু মিলিয়ে ভাষণটি মানবিক বোধ, গণতান্ত্রিক চেতনা এবং নিপীড়ীত মানুষরে স্বাধিকার অর্জন ও আর্থ-সামাজিক মুক্তির এক অনন্য দলিল হয়ে উঠেছে।

কূটনৈতিক প্রজ্ঞা, কৌশল, ইতিহাস থেকে নেয়া শিক্ষা, সময়জ্ঞান ও শব্দচয়ন ভাষণটিকে করে তুলছেে অতুলনীয়। বাঙালিকে দেশের গরিব-দুঃখী, নিরস্ত্র মানুষ, ‘আমার মানুষ’ বলে উল্লেখ করেছেন বঙ্গবন্ধু। বাংলার মানুষকে নানা অত্যাচার-র্নিযাতন-শোষণের নির্মমতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য কী-ওর্য়াড গুলো বারবার ব্যবহার করে নতুন ব্যঞ্জনা সৃষ্টি এবং মানুষের রক্তে বিদ্রোহের গতিবেগ সৃষ্টি করেছেন, মূল কথাগুলোকে বারবার সামনে আনার চেষ্টা করেছে।
ভাষণে মুক্তি ও সংগ্রাম শব্দ দুটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে বারবার উল্লখে করছেনে বঙ্গবন্ধু। যেমন, ‘এবাররে সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতা চাননি চেয়েছিলেন মুক্তি তাই ভাষণটি হয়ে উঠছেে কালজয়ী।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ এর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের শহীদ আক্কাস - শহীদ মহিউদ্দিন  মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন মোড়ল, যুদ্ধকালীন কমান্ডার আবদুল মান্নান রাড়ী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক হাজি আবদুল মান্নান হাওলাদার, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম,শিক্ষা অফিসার সুলতানা রাজিয়া প্রমূখ।