• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৪  

"প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ,গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ "এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ভোলায় ৪র্থ বারের মতো  অনুষ্ঠিত হয়ে  গেলো প্রাণি প্রদর্শনী মেলা। এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক ও খামারীদের গৃহপালিত হাসঁ-মুরগী,পশু-পাখি নিয়ে মেলায় অংশ নেয়। মেলা অংশ নিয়ে খুশি খামারী  ও দর্শনার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের  উদ্যোগে  ভোলার বাংলাবাজারে  আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী প্রাণী প্রদর্শনী মেলা। 

উদ্বোধনের পরপরই বাংলাবাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে জমে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় স্থানীয় বিভিন্ন খামারিদের পশু-পাখি প্রদর্শন করা হয় মেলাতে। যেখানে স্থানপায় দেশী- বিদেশী গরু,ছাগল,মহিষ, হাসঁ-মুরগী,কবুতর,পাখিসহ ৩০ প্রজাতির প্রাণী। মেলায় ৫০ টি স্টলে প্রদর্শন  করা হয়।  স্থানীয় খামারীরা নিজের পালন ক্রিত পশু-পাখি মেলায় প্রদর্শন করা হয়। মেলায় শুধু পশু পাখি নয় মেলায় খামারীদের তৈরি বিভিন্ন খাবার,ঔষুধ ও পশুর খাদ্য তৈরির কৌশল শিখানো হয়। মেলায় খামারীরা তাদের পশু প্রর্দশন করতে  পেরে খুশি খামারীরা। 

ভোলা জেলা ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন  এর  সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান খোকন বলেন, এই মেলার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যন্ত  এলাকার খামারিরা বিভিন্ন পশুর  জাত উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। কিভাবে খাসের ছাইলেস করতে হবে সেগুলোর ধারনা পেয়েছি এবং দুধ দিয়া কিভাবে পন্য তৈরি করা যায় সেগুলো শিখতে পেরেছি।

মোস্তফা কামাল বলেন, ভোলাতে প্রচুর চরাঞ্চল রয়েছে। সেসব চরাঞ্চলে বিভিন্ন গবাদি পশু  পালন করা হয়। তাই এই মেলার মাধ্যমে আমরা খামারিদেরকে বিভিন্ন পশুর খাদ্য তৈরির কৌশল শিখাচ্ছি। যাতে বর্ষাকালে খামারীরা পশুর জন্য খাদ্য তৈরি করতে পারে।
পাশাপাশি এলাকায় ভুট্টা চাষ হচ্ছে ব্যাপক আকারে। আমরা খামারিদের সাইলেজ করার কৌশল শিখাচ্ছি। যাতে করে পশু পালন করতে গিয়ে খাদ্য সংকটে না পরে।
দেশের প্রাণিসম্পদ রক্ষায় এবং আমিষের চাহিদা পূরণ করতে ও পশু পালনের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে এমন আয়োজন বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ভোলা সদর উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহীন মাহমুদ বলেন,মেলার আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো আমাদের প্রাণীজ সম্পদের নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাথে খামারিদের  পরিচয় করে দেওয়া। নতুন নতুন খামারি সৃষ্টিতে  এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্রশীল বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ যেন প্রাণী স্বাস্থ্যসেবা প্রধান,প্রাণীজ উৎপাদন, ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজন এর মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষ এর   চাহিদা পূরণ লক্ষ্য নিয়ে এ মেলার আয়োজন। এই মেলার মাধ্যমে খামারীদের দেখে নতুন নতুন খামারি তৈরি হবে । খামারি তৈরি মাধ্যমে নিজেরা স্বাবলম্বী হবে  এবংদেশের  আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেন, ভোলায় প্রাণী প্রদর্শনী মেলার মধ্যে দিয়ে নতুন খামারি সৃষ্টি হবে। নতুন খামারিরা নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হবে। এর মাধ্যমে খামার পরিচালনা  করতে গিয়ে তাদের খরচ কমে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন পাশাপাশি তরুনরাও খামারী হতে উৎসাহিত হবে বলে জানান।
পরে মেলে অংশ নেওয়া বিভিন্ন খামারিদের মাঝে  সাইলেজ জাতীয় ঘাস বিতরন ও সেরা খামারিকে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ এর তথ্য মতে  ভোলা জেলায় প্রায় ৫ হাজার  বেশি খামারি প্রায় ১১ লাখ এর মতো গরু-মহিষ,ছাগল সহ পশুপাখি পালন করছে খামারীরা।