• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুর জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে  স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার(২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 জেলা তথ্য অফিসার মোঃ শাহিন মিয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন  শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদিয়া জেরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার শাওন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হারুন অর রশীদ, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক শ্যামল চন্দ্র মালাকার।এ সময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা প্রশিক্ষক, সাংবাদিক ও প্রশিক্ষনার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদিয়া জেরিন বলেন,রাষ্ট্রের জনগণ সচেতন হলে আকস্মিক বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে কম হয়।বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দেশের অনেক বিষয়েই সচেতন নন। অনেক ক্ষেত্রেই তারা অদৃষ্টবাদী, হুজুগে বিশ্বাসী। এছাড়াও স্মার্ট শিক্ষার আলো বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখনো পৌঁছেনি। ফলে নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত কিছু মানুষ সমাজ-রাজনীতি বিষয়ে সচেতন হলেও অধিকাংশ মানুষ তা নন। তাই তাদের সহজেই বিপথে পরিচালিত করা যায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা দেখেছি শুরু থেকেই স্বার্থান্বেষী শ্রেণি ও মৌলবাদী গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে নানা ধরনের স্বার্থ হাসিল করছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সাধারণ মানুষকে স্নেহ করতেন,ভালোবাসতেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার মতোই বাংলার মানুষকে ভালোবাসেন, বাংলার মানুষের মুক্তি ও উন্নয়ন কামনা করেন। তবে শেখ হাসিনার পক্ষে একা বাংলার মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের সচেতন করে তোলা কঠিন। তাই আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় বিশ্ব বাসী, যারা শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি, সমর্থন করি তাদেরই পবিত্র দায়িত্ব এখন দেশে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষের উচিত এখন শেখ হাসিনার পক্ষে জনমত গড়ে তোলা।  

ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সুফল সাশ্রয়ী, টেকসই ও জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের। যেখানে অর্থের আধিপত্যের পরিবর্তে জ্ঞান, মেধা ও পরিশ্রমের জয়গান প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন শোষণ ও বৈষম্যের জায়গা দখল করবে সাম্য ও স্বাধীনতা। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সফল হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে শিক্ষা খাতে প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এখন স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার হচ্ছে।

 শ্রেণিকক্ষে ব্যবহার হচ্ছে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, স্পিকার ও ইন্টারনেট। এভাবেই ক্রমশ বেড়ে চলেছে শিক্ষার প্রসার। শিক্ষা ছাড়াও সর্বক্ষেত্রে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের এখন যে উন্নতি হয়েছে এক দশক আগেও তা কল্পনা করা যেত না। দেশের সর্বস্তরে মানুষ প্রতিনিয়ত অভ্যস্ত হচ্ছে প্রযুক্তি ব্যবহারে। করোনা মহামারির ধাক্কা ও বৈশ্বিক ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা উন্নয়ন বা ইতিবাচক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করছি। বিশেষত পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আইসিটি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হয়েছে।