• শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

  • || ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

আদালতের বারান্দা থেকে পালিয়ে গেল হত্যা মামলার আসামি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৪  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে থেকে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়েছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -১ আদালতের সামনে থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যান ওই আসামি। রাত ৯টা পর্যন্ত ওই আসামির খোঁজ মেলেনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব ও কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন মজুমদার।

পালিয়ে যাওয়া ওই আসামি হলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার মিয়া চান ফকিরের ছেলে বাবু ফকির (২৫)। আজ শনিবার দুপুরে সদরের পালং মডেল থানার হাজত খানা থেকে তাকে আদালতে নেয় পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা রয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ধার্য তারিখে হাজিরা দিতে প্রিজন ভ্যানে করে পালং মডেল থানা থেকে অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -১ আদালতের সামনে আনা হয় বাবু ফকিরকে। আসামিকে বুঝে নেয় কোর্ট পুলিশ। এরপর এজলাসের সামনে পুলিশের সদস্যরা আসামি বাবু ফকিরকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান তিনি। দুপুর থেকে আদালত চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পায়নি পুলিশ।

মামলা, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে গত বুধবার রাতে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে প্রেমিক মামুন চৌকিদার তাঁর দুই সহযোগীর হাতে তুলে দেন নড়িয়া উপজেলা জপসা গ্রামের মোহাম্মদ আলী মাদবরের স্ত্রী মুন্নী বেগম। পরেরদিন বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ আলী মরদেহ সদর উপজেলার সুজনদোয়াল এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় শুক্রবার নিহতর ভাই কেরামত মাদবর পালং মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার আসামী বাবু ফকির।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, ১৬৪ জবানবন্দি দেয়ার জন্য আজ দুপুর আড়াইটার দিকে পালং মডেল থানার হাজতখানা থেকে আসামী বাবু ফকিরকে শরীয়তপুর আদালতে নেয়া হয়। জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতের বারান্দায় দাড়িয়ে ছিল বাবু ফকির। তখন কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ শুরু করেছে। দ্রুতই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।

শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, আসামী পালিয়ে গেছে এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে জেলা পুলিশের ২০/২৫ টিম কাজ করছে।