• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব। ’ এই স্লোগানে সারাদেশের মতো শরীয়তপুর জেলায় আজ ১ ডিসেম্বর  বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে জেলায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম আবদুল্লাহ আল  মুরাদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান।বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান,জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা বিএমএর সভাপতি ডাঃ মনিরুল ইসলাম। জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা  মাহাবুবার রহমানের সঞ্চালনা স্বাগত বক্তব্য রাখেন  সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৈয়দ শাহিনুর নাজিয়া।

সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন, সারা দেশে ২৮টি এইচটি সেন্টার আছে। জিন এক্সপার্ট মেশিন এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে। যেহেতু এ মেশিনটি ইতিমধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তাই দ্রুত সময়ে বাকিদের শনাক্তের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

এইডস আক্রান্ত জনগোষ্ঠী নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য আছে তা দূর করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এইচআইভি তিনটি পদ্ধতি মানুষের শরীরে ছড়ায়। এই তিনটির বাইরে কোনো পদ্ধতি নেই। এক. দুজন মানুষের শারীরিক মিলনের মাধ্যমে। দুই. ইনজেকশনের মাধ্যমে হতে পারে, ইনজেকশন যদি শেয়ার করে বা রক্ত দেয়ার মাধ্যমে হতে পারে। তিন. মায়ের থেকে সন্তানের হতে পারে। মা যদি এইচআইভি পজিটিভ হয়, তখন এটি হতে পারে, তাও এর সম্ভাবনা খুব কম। ১০০ ভাগের এক ভাগও নয়, দশমিক পাঁচ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে। এই দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে পড়ে গেলে সন্তানও এইচআইভি পজিটিভ হতে পারে। এছাড়া শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়াদের মধ্যে সংক্রমণে হার বেশি।

সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম  আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোলের সর্বশেষ ২০১৯ সালের তর্থ্যমতে দেশে বর্তমানে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এসব রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়ে চিকিৎসার আওতায় এসেছে মাত্র ৭ হাজার ৩৭৪ জন। এখনও শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে প্রায় ৭ হাজার। এদের মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আছে ১০৫ জন।

২০১৯ সালে নতুন করে ৯১৯ জন মানুষের শরীরে পজিটিভ এসেছে। আর এ বছর এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭০ জন। তবে আশার কথা হচ্ছে আল্লাহর রহমতে  শরীয়তপুর জেলায় এখনো  কোন রোগী  সনাক্ত হয়নি। এর পরে সিভিলসার্জনকার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা  বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে শেষ।