• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক রাইসি-আমির আব্দুল্লাহিয়ান মারা গেছেন: ইরানি সংবাদমাধ্যম সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে কাজ করছে বিএসটিআই: প্রধানমন্ত্রী চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রিকশাচালকের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মানবিক উদ্যোগ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪  

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) হাবিবুর রহমান নামে একজন প্রবীণ রিকশাচালকের জন্য একটি বাসস্থান এবং তাকে একটি অটোরিকশা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

হাবিবুর রহমান সম্পর্কে সিনিয়র সাংবাদিক জ. ই. মামুনের সাম্প্রতিক একটি ফেসবুক পোস্ট দেখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই মানবিক উদ্যোগটি গ্রহণ করে।

জ. ই. মামুনের ওই পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে হাবিবুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২৫ এপ্রিল সাংবাদিক মামুন এক ফেসবুক পোস্টে ৭৭ বছর বয়সী হাবিবুর রহমানের দুর্বিসহ জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত লেখেন।

প্রবীণ রিকশাচালক হাবিবুর রহমান জানান, তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অন্তর্গত সোনাকান্দি গ্রামে। বাবার মৃত্যুর পর ১৯৬৯ সালে ২২ বছর বয়সে ঢাকায় আসেন রিকশা চালাতে। আজও রিকশাই চালাচ্ছেন। চার মেয়ে, সবার বিয়ে দিয়েছেন। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে গরীব ঘরে, বাপকে দেখার অবস্থা তাদের নেই। কোনো ছেলে সন্তানও নেই যে তাকে দেখবে। তাই বাধ্য হয়েই ঢাকায় রিকশা চালাতে হচ্ছে তাকে।

হাবিবুর রহমানের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে বরিশালে তার বাপের বাড়িতে চলে গেছেন এবং এখন সেখানেই থাকেন।

দরিদ্র হাবিবুরকে অন্নসংস্থানের জন্য ঢাকায় রিকশা চালাতে হয়। দু’বার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থাও খুবই খারাপ। দুর্বল শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি ঠিকভাবে কথাও বলতে পারেন না। রাতে থাকেন রাজধানীর ধানমন্ডি ৭ নম্বর সড়কের ফুটপাতে।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি এখন গৌরীপুরে আছি। মন্ত্রণালয় (পিএমও) আমাকে আমার গ্রামের বাড়িতে একটি ঘর তৈরির আশ্বাস দিয়েছে। আমার জীবিকা নির্বাহের জন্য আমি তাদের কাছ থেকে একটি অটো (ব্যাটারি চালিত তিন চাকার গাড়ি) দাবি করেছি। তারা আমাকে একটি অটো দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে। ঘর ও অটো পেলে আমার জীবন বদলে যাবে।’ (বাসস)