• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর : পাঁচ যাত্রী কারাগারে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২০  

 

বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বনলতা আন্তনগর ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও বগির জানালার গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনায় লোকাল ট্রেনের আটক পাঁচ যাত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের সিরাজগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। জানা গেছে, পাবনার চাটমোহর উপজেলার ঘোষাল খতবাড়ি গ্রামের আজাহার আলী নামে টিকিটবিহীন এক বয়স্ক যাত্রী শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় স্টেশনে বনলতা ট্রেনে উঠতে যান। এ সময় বনলতা ট্রেনের খ বগির অ্যাটেনডেন্ট আব্দুল বারি প্রথমে তাকে বাধা ও পরে ধাক্কা দেন। এতে নিচে পড়ে তিনি গুরতর আহত হন। এ ঘটনায় স্টেশনে অপেক্ষমাণ ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী অপর একটি লোকাল ট্রেনের কতিপয় ক্ষুব্ধ যাত্রী পাথর নিক্ষেপ ও ট্রেনের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে।

ওই ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ সন্দেভাজন পাঁচ জনকে আটক করে। পরবর্তীতে মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলো, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মোন্নাফের ছেলে মহর আলী (৩২), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আবু তালেবের ছেলে রুবেল হোসেন (২০), দহকোলা গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে কাওসার আলী (১৯), এলমজানি গ্রামের বাহাদুর আলী সরদারের ছেলে হোসেন আলী সরদার (১৯) এবং কামারখন্দের নান্দিনামুধু গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে আল আমিন (২১)।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম বলেন, বনলতা ট্রেনের খ বগির অ্যাটেন্টডেন্ট আকতার হোসেন টিকিটবিহীন ওই বয়স্ক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দিলে লোকাল ট্রেনের অন্য যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার উপ-পরিদর্শক রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ের স্টেশন মাস্টার ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরই মধ্যে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বিনা টিকিটে জোরপূর্বক ট্রেনে উঠতে গেলে অ্যাটেনডেন্ট বাধা দেবেন এটি স্বাভাবিক। কিন্তু, ট্রেন বা যাত্রীদের ওপর ঢিল ছোড়া আরও বড় অপরাধ।’

পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশীর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আহসান উদ্দিন ভুইয়া জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। বনলতা ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আব্দুল বারির অশোভন ও উদ্ধত আচরণসহ পুরো ঘটনার তদন্তে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের প্রধান কার্যালয় তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে।