• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

দেশে অচিরেই ৫-জি নেটওয়ার্ক চালু করা হবে- প্রধানমন্ত্রী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২০  


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে অচিরেই ৫-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। ইতোমধ্যে আমরা বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’র সেবা ব্যবহার করতে শুরু করেছি।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২০ শুরু হচ্ছে আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি)। এ উপলক্ষে বুধবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১ ঘোষণার পর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের ফলে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এসেছে ৫-জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি, যা জনকল্যাণে ব্যবহার করাই হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ এ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ইন্টারনেট ডেনসিটি বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সকল সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, প্রায় সকল উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সকল জেলায় ‘জেলা তথ্য বাতায়ন’ এবং সারা দেশে ৫ হাজার ৮৬৫ ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৮ হাজার ৫০০টি ডাকঘরকে পোস্ট ই-সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগকে দ্রুত ও সহজতর করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক যোগাযোগসহ প্রতিটি খাতে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, একটি বাস্তবতা।’ প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের জনগণ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও অবহিত হবেন এবং সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল রেখে সমমানের ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করবেন। বাণীতে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন।