• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ইরাক প্রবাসীদের নিরাপত্তায় যেকোনো পদক্ষেপ নেবে সরকার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২০  

 

সম্প্রতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বৈরিতায় অস্থিরতা বিরাজ করছে ইরাকে। দেশটিতে বাংলাদেশের তিন লাখের মতো প্রবাসী কর্মী রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি‌তে তাদের নিরাপত্তায় জরুরী পদক্ষেপ নেবে সরকার। এছাড়া পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইরাক প্রবাসী বাংলাদেশীদের সতর্ক অবস্থায় চলাফেরা করতে বলা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত সরকারের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ইরাকে কর্মীরা এখন পর্যন্ত ভাল আছেন। তারপরও জরুরী নির্গমণ বিষয়ে ভেবে রেখেছে সরকার। এসব বিষয়ের পাশাপাশি দেশটিতে অবস্থিত দূতাবাসের দেওয়া বিভিন্ন তথ্য পর্যা‌লোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী করণীয় নিয়েই মূলত বিশেষ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা।

আপাতত মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা হচ্ছে- এখন পর্যন্ত ইরাকে সে রকম কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে পরিস্থিতি বেশি প্রতিকূলে গেলে কর্মীদের নিরাপদে রাখার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে ভবিষ্যতে কী হবে সেটা পরে নির্ধারণ করা হবে। জানা গেছে, ইরাকে কর্মীদের নিরাপত্তা বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। পররাষ্ট্র সচিব মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন এখন পর্যন্ত ইরাকে তেমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। পরিস্থিতি যদি জটিল হয় তার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। তাছাড়া ইরাক সরকার প্রবাসী কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন আছে।

এদিকে, ইরাকে নতুন করে কোনো কর্মীকে পাঠাতে না করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাম্প্রতিক সঙ্কট সমাধান হলে দেশটির কর্মী নিয়োগের চাহিদাসাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ‌নেবে সরকার। যদিও মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আনুষ্ঠিত সাব-কমিটির বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরার প্রেক্ষিতে ইরাকে অবস্থানরত প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তায় বাগদাদের বাংলাদেশ মিশনের সঙ্গে ঢাকা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, কতিপয় সুনির্দিষ্ট হামলা সত্ত্বেও ইরাকে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা নিরাপদে থাকবেন।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরার প্রেক্ষিতে এখনই বিশেষজ্ঞরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোনো আশঙ্কা করছেন না। তবে শ্রমবাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কী না জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ইতিবাচক খবরই পাচ্ছি সংশ্লিষ্টাদের কাছ থেকে। তাই এখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হ‌য়নি। তবে যেকো‌নো ধরনের পরিস্থি‌তির জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’

সচিব আরো বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছি। অবশ্যই বাংলাদেশী কর্মী‌দের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই নেব আমরা।’ প্রবাসীদের সেবা দেয়ার জন্য সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা দূতাবাস খোলা রাখা হচ্ছে বলে সচিব জানান।

এদিকে গত ৩ জানুয়ারি, ইরাকের চলমান নিরাপত্তাহীন অস্থিতিশীল পরিবেশের কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বাগদাদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাস প্রধান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রয়োজন ব্যতীত কর্মস্থল ও বাসস্থান ছাড়া যত্রতত্র যাতায়াত ও সকল সভা সমাবেশ এড়িয়ে চলতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বাগদাদ বিমানবন্দরে ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরান ইতোমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন, তার দেশের স্বার্থ আক্রান্ত হলে ইরানে হামলার জন্য ৫২টি জায়গা তিনি বাছাই করে রেখেছেন।

এই কথার যুদ্ধের মধ্যে অস্থিরতা বেড়েছে ইরাকেও। ইরানের সমর্থনপুষ্ট ইরাকি মিলিয়াশিয়া দলগুলোর অবস্থানে কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।