• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

প্রাকৃতিক রূপ অটুট রেখেই শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দি‌চ্ছে সরকার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 


কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক রূপ অটুট রেখে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দি‌তে কাজ করছে সরকার।

রোববার স‌চিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সফল বাস্তবায়নের জন্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী ব‌লেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলেই এই খাতের সাফল‌্য দৃশ্যমান। সরকারের অঙ্গীকার, আমার গ্রাম-আমার শহর। এর অর্থ হল গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক রূপ অটুট রেখে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া। গ্রামের মানুষের আয় বাড়াতে হবে। উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা থাকবে গ্রামে।  গ্রামেও উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি  মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আধুনিক শহরের সব সুবিধাদি দেয়া হবে। এর মাধ্যমে বর্তমান সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। ’

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর সাত থেকে আট লাখ টন ডাল আমদানি কেনো করতে হচ্ছে? আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে ডালের আমদানিনির্ভরতা রোধ করা যেতো। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সবাইকে মাঠে যেতে হবে, কৃষকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। কোন কৃষক কী ফসল আবাদ করতে চায়, তার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কত, জানতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে।

এপিএ সফলভাবে বাস্তবায়নে যারা সফল হয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানান মন্ত্রী। এবারে এপিএ পুরস্কার পাচ্ছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) প্রথম স্থান, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) দ্বিতীয় এবং তুলা উন্নয়ন বোর্ড (সিডিবি) ৩য় স্থান অর্জন করে। পরে মন্ত্রণালয়ের এপিএ টিমকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।