• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ, কমছে দাম

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০  

জেলেরা ট্রলার ও নৌকা বোঝাই করে প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে ধরছে ইলিশ। বাজারগুলো সয়লাব ইলিশে। তবুও ইলিশের দাম চড়া। বাজারে কেজি প্রতি এক হাজার টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। চাহিদার তুলনায় ইলিশের যোগান অনেক বেশি।

প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া ইলিশের পাশাপাশি সমুদ্রে ধরা পড়ছে আরও বহু প্রজাতির মাছ। যেমন-রূপচান্দা, ছুরিমাছ, ম্যাকারেল, সুন্দর বাইলা, চিংড়ি, লইট্টা, খল্লা, লাখুয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তুলনামূলক এসব সামুদ্রিক মাছের দাম কম।

নদ-নদীর নাব্য হ্রাস, পরিবেশ বিপর্যয়, নির্বিচারে জাটকা নিধন ও মা মাছ আহরণের ফলে একটা সময় নদীতে আকাল দেখা দিয়েছিল ইলিশের। তবে সরকারের পদক্ষেপে গত কয়েক বছরে সেই চিত্র অনেকটাই বদলেছে। নানামুখী উদ্যোগে আবারো নদীতে ফিরতে শুরু করেছে ইলিশের ঝাঁক। বেড়েছে উৎপাদন। 

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে দেশে ইলিশ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৯০ লাখ টন। এর এক দশক পর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় মাছটির উৎপাদন বেড়ে ৫ দশমিক ৩৩ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। শিগগিরই উৎপাদন সাড়ে পাঁচ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে মোট উৎপাদিত মাছের ১২ দশমিক ১৫ শতাংশই আসে শুধু ইলিশ থেকে। আর মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ইলিশের অবদান ১ শতাংশেরও বেশি।

দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অনেকগুলো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন নতুন অভয়াশ্রম গড়ে তোলার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে ইলিশের বিচরণক্ষেত্রগুলো। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা নিধন বন্ধে নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে বিশেষ অভিযান। সে সঙ্গে মৎস্যজীবীদের মধ্যে বাড়ানো হচ্ছে সচেতনতা। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদীতে জাল ফেলা বন্ধ রাখতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় তাদের দেয়া হচ্ছে চাল ও আর্থিক সহায়তা। আর এসবেরই সুফল মিলছে ইলিশ উৎপাদনে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে তার সুফল পাচ্ছে  ক্রেতারা।  

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির কম ইলিশ বিক্রি এক হাজার টাকার নিচে হলেও এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৫০০ পর্যন্ত। এ নিয়ে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার দরকষাকষি। ইলিশ কিনতে আসা কাওছার নামে এক ক্রেতা জানান, পাঁচটা ইলিশের ওজন হয়েছে সাত কেজি। দাম নিয়েছে সাত হাজার টাকা।

সাধারণ ক্রেতাদের দাবি, ইলিশের মৌসুমে সবারই ইলিশ খেতে ইচ্ছা করে। যেহেতু ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে সেক্ষেত্রে অবশ্যই বাজারে ইলিশের দাম কমানো উচিত। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে অসাধু ব্যবসায়ী ও মধ্যসত্ত্বভোগীদের। প্রয়োজনে এ উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।