• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে

দেশে ৫ ধরনের স্বতন্ত্র করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের (সার্স-কোভ-২) সংক্রমণ, মিউটেশনের হার, জিনগত বৈশিষ্ট্য, নন-সিনোনিমাস মিউটেশন এবং জেনোমিক ফাইলোজেনি পর্যবেক্ষণ করে দেশে পাঁচ ধরনের স্বতন্ত্র করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যা বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) মিলনায়তনে বিসিএসআইআর জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রতিবেদন অবহিতকরণ সভা বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আফতাব আলী শেখ এ তথ্য জানান।

এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ বিসিএসআইআর জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

মো. আফতাব আলী শেখ জানান, করোনা ভাইরাসের (করোনা ভাইরাস ডিজিজ-১৯ সংক্ষেপে কোভিড-১৯) জিনগত বৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণ করার জন্য সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সর্বমোট ২৬৩টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ও ডাটা বিশ্লেষণ করা হয়। এ নমুনা চলতি বছরের ৭ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়। নমুনাগুলোর জিনোম সিকোয়েন্সিং করে আন্তর্জাতিক ডাটাবেজ Global Initiative on Sharing All Influenza Data (GISAID) তে প্রকাশ করা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংগৃহীত নমুনায় শতভাগ ক্ষেত্রে আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্টের G 414 (স্পাইক রুটিনে ৬১৪তম অবস্থানে অ্যাসপার্টিক গ্লাইসিন হওয়ার কারণ) উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রাপ্ত ২৬৩টি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের মধ্যে ২৪৩টি GR ক্লেড, ১৬টি G ক্লেড এবং ১টি O ক্লেডের অন্তর্ভুক্ত।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ২৬৩টি সার্স-কোভ-২ জিনোম বিশ্লেষণ করে জানা যায় যে সর্বমোট ৭৩৭টি পয়েন্টে মিউটেশন হয়। যার মধ্যে ৩৫৮টি নন সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন ঘটায়। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ২৬৩টি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের মিউটেশনের হার বার্ষিক ২৪ দশমিক ৬৪ নিউক্লিওটাইড। সারাবিশ্বে নমুনা প্রতি মিউটেশন হার ৭ দশমিক ২৩। যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৬০ লক্ষ্য করা যায়‌। অর্থাৎ অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি অনেক দ্রুত গতিতে এর রূপ পরিবর্তন করছে। স্পাইক প্রোটিনের জিনে ১০৩টি নিউক্লিওটাইড নিউটেশনের মধ্যে ৫৩টি নন সিনোনিমাস এমোনিয়া বেশি প্রতিস্থাপন ঘটে, যার মধ্যে পাঁচটি স্বতন্ত্র। যা বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যায়নি। সংগৃহীত নমুনা সময়ের মধ্যে ১০০ ভাগ ক্ষেত্রে চারটি নিউটেশনের পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা যায়।

বিসিএসআইআররের চেয়ারম্যান বলেন, চলমান বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারিতে সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীরা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উৎস, গতি প্রকৃতি ও বিস্তার নির্ণয়ের পাশাপাশি এ ভাইরাসের ওষুধ ও ভ্যাকসিনের ওপর গবেষণা করছেন। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশেও সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করার প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাবরেটরি বাংলাদেশের আটটি বিভাগের সর্বমোট ৩০০টি-ভাইরাস পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করার প্রকল্প গ্রহণ করেন। গবেষণালব্ধ ফল রিসার্চ পেপার আকারে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হবে। একই সঙ্গে চীন ইউএসএ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের প্রায় ৫০টি কোভিড-১৯ টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়।