• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

শাসনতন্ত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২০  

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান গ্রহণের পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার মন্ত্রিসভা ও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ব্যাপকভাবে অভিনন্দিত হতে থাকে। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম যারা এতো দ্রুততম সময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান জনগণের সামনে হাজির করতে পেরেছে। আর দলীয় নেতাকর্মী, দেশের বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, শাসনতন্ত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বরের পত্রিকায় সেসব মন্তব্য, অভিনন্দন বার্তা প্রকাশ হয়।

 

বাংলাদেশ অবজারভার

সংবিধান অভিনন্দিত

দেশের ছাত্র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী মহল, অভিজ্ঞজনেরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানকে অভিনন্দন জানান। এত অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে একটি সংবিধান দেওয়ার জন্য তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করেন। সংবিধান গৃহীত হওয়ার মধ্য দিয়ে পঁচিশ বছরের অসুস্থ পরিবেশের একটি যুগের অবসান ঘটেছে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান সংবিধানকে অভিনন্দন জানান বলে বিবিসির খবরে প্রকাশ করা হয়। এর আগে শনিবার গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন এটি জাতির এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের কোনও জাতির পক্ষে সংবিধান প্রণয়ন সম্ভব হয়নি।

জিল্লুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু ঠিকই বলেছেন, এই শাসনতন্ত্র শহীদের রক্তে লিখিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্য জনগণের কথারই প্রতিধ্বনি। তিনি আরও বলেন, শাসনতন্ত্রে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। শাসনতন্ত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী একে জাতির এক ‘অনুপম দলিল’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এই সংবিধান সংসদীয় গণতন্ত্র ও সমাজতান্ত্রিক নীতির অর্থনীতির মূর্ত রূপ। তবে তিনি বলেন, সংবিধান গ্রহণের চাইতে এর মৌল নীতিমালা বাস্তবায়ন অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। এসব নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জনগণের ওপর নির্ভর করে।

দৈনিক ইত্তেফাক

বঙ্গবন্ধুকে ইদি আমিনের পত্র

উগান্ডার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জে এন কাকাম্বা গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে এইদিনে সাক্ষাৎ করেন এবং জেনারেল ইদি আমিনের একটি ব্যক্তিগত পত্র বঙ্গবন্ধুকে দেন। ভারতে নিযুক্ত উগান্ডার রাষ্ট্রদূত কাকাম্বা নয়াদিল্লি থেকে ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের মুখ্য উদ্দেশ্য কী প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তার দেশ থেকে অনাগরিকদের বহিষ্কার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেসিডেন্ট আমিনের একটি ব্যক্তিগত চিঠি নিয়ে এসেছেন। তিনি আরও জানান, উগান্ডার সরকার বহিষ্কৃতদের প্রতি যেসব মানবিক আচরণ প্রদর্শন করেছেন সেটি তার আনা চিঠিতে উল্লেখ আছে।

তিনি বলেন বহিষ্কৃত এশীয়দের ৫ মণ পর্যন্ত মালপত্র বহন ও কিছু নগদ অর্থ সঙ্গে নেওয়া এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য এজেন্ট নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি অভ্যন্তরীণ সমস্যা। ভারতীয়রা উপলব্ধি করেছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির সমর্থন না করা এবং ভবিষ্যতে এ প্রশ্ন পুনরায় উত্থাপিত হলে উগান্ডা সমর্থন করবে কিনা সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। তবে তিনি বলেন, জাতিসংঘে আপনাদের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা আমরা করেছি কিনা তা আমি যাচাই করে দেখবো।

শিশুখাদ্য নিয়ে ভোগান্তি কমেনি

টিসিবি মাল দিয়েছে, কিন্তু শিশু খাদ্য নিয়ে ঢাকার নাগরিকদের ভোগান্তি কমেনি। টিসিবি রেশন ডিলারের নাম ঘোষণা করেছে। তবে তাদের সবাই মাল পাননি। যারা পেয়েছেন তাদের দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেশন কার্ড নিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কোনও কোনও এলাকায় মারামারির খবর পাওয়া গেছে। এ ধরনের তিন-চারটি এলাকার খবর প্রকাশিত হয় দৈনিক বাংলায় পরের দিন। পত্রিকায় টিসিবির এই শিশুখাদ্য বিতরণের নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ প্রকাশ হয়।

জাপান যমুনায় সেতু বানিয়ে দেবে

জাপান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রদত্ত সাহায্যের অংশ হিসেবে গঙ্গার উত্তরপ্রান্তে যমুনা নদীর ওপর একটি সেতু তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। জাপান সরকারের নির্মাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সম্ভাব্যতা জরিপকারী দলের তথ্য সংগ্রহের জন্য সেই বছরেই বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। যমুনা সেতু নির্মাণের এ প্রকল্পে ২০ কোটি ডলারের মতো খরচ হতে পারে বলেও টোকিও থেকে জানানো হয়।