সুন্দরবনে শুঁটকি আহরণ মৌসুম শুরু, জেলেরা ছুটছেন দুবলারচর
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২০
মোংলা ও শরণখোলা উপজেলার লোকালয় থেকে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে পাঁচটি চর নিয়ে সুন্দরবনের সর্ববৃহৎ শুঁটকি পল্লিকেন্দ্র দুবলার অবস্থান। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলারচর, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, শেলারচর ও মেহেরআলীর চর নিয়ে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা এই পল্লিতে প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত চলে সামুদ্রিক মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরির কাজ। ১৫ থেকে ২০ হাজার জেলে ও বহরদাররা সুন্দরবন বিভাগের কাছ থেকে নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে অস্থায়ী শুঁটকি পল্লিতে অস্থায়ী ঘর করে সামুদ্রিক সাদা মাছসহ চিংড়ি ও কাঁকড়া আহরণ করে। সুন্দরবনের দুবলারচরের শুঁটকি পল্লির জেলেরা কমবেশি ৩০ প্রকার জাল ব্যবহার করে মাছ রোদে শুকিয়ে বিদেশে রফতানির জন্য উপযোগী করে তোলে। আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের দুবলারচরে শুঁটকির জন্য মাছ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণ মৌসুম।
এদিকে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞাও বুধবার রাত ১২টার পর শেষ হচ্ছে। জেলেরা রাত ১২টার পর সাগরে মাছ ধরতে রওনা হবেন। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ জানায়, এ বছর শীতে করোনা প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা মাথায় রেখেই স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলারচরে শুঁটকি পল্লি করার অনুমতি দিয়েছে বন বিভাগ।
১৫ জন বহরদারের (জেলে মহাজন) আওতায় ১৫ থেকে ২০ হাজার জেলে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে বাগেরহাটের মোংলা থেকে মাছ ধরার জন্য নৌকা-জাল নিয়ে চরে অস্থায়ী বসত গড়ে তোলার সরঞ্জাম নিয়ে যাত্রা করেছেন দুবলা শুঁটকি পল্লির উদ্দেশে। যাত্রার আগে তারা সেরে নিয়েছেন ধর্ম অনুযায়ী নৌকায় মিলাদ ও পূজার আনুষ্ঠানিকতাও। এসব বহরদার ও জেলে সুন্দরবনের দুবলারচরে শুঁটকি পল্লিতে যেতে জড়ো হয়েছেন বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদীর চিলা খালে। এর আগে তারা সুন্দরবন বিভাগের কাছ থেকে সরকারি অনুমতি (পাস পারমিট) নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চাঁদপাই গ্রামের জেলে রহমত আলী (৫০) বলেন, আমি এবার ৩০ জন জেলে নিয়ে সুন্দরবনের শুঁটকি পল্লিতে যাচ্ছি। সেখানে সমস্যা অনেক। যেমন সেখানে কোনও হাসপাতাল নেই, আমাদের কেউ অসুস্থ হলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। কেউ অসুস্থ হওয়ার পর শরণখোলা ও মোংলা আনতে আনতে পথে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আমরা চাই সেখানে একটি হাসপাতাল করা হোক। আসছে শীত মৌসুমের পুরোটাই জেলেদের থাকতে হবে সাগর ও সুন্দরবনের শুঁটকি পল্লিতে। তাই সেখানে করোনার প্রকোপ বাড়লে আমাদের পড়তে হবে চরম বিপদে। তাই চরে হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র স্থাপনের দাবি আমার মতো সব জেলের।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই দুবলারচরের অস্থায়ী শুঁটকি পল্লির ১৫ থেকে ২০ হাজার জেলে ও বহরদাররা মাছ আহরণ ও শুঁটকি তৈরির কাজ করতে জড়ো হবে। যেহেতু অনেক লোকের সমাগম ঘটবে তাই তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সেখানে ভাসমান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন জরুরি বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, তা না হলে ওখানে যেকোনও একজন কোনোভাবে সংক্রমিত হলে তা ছড়িয়ে যাবে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মাঝে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, গত ২০১৮-১৯ শুঁটকি আহরণ মৌসুমে জেলেদের আহরিত ৪১ হাজার ৫৪ কুইন্টাল শুঁটকি থেকে বন বিভাগ ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও ২০১৯-২০ মৌসুমে ৪৪ হাজার ৭১৩ কুইন্টাল শুঁটকি থেকে ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। আর এবার শুঁটকি খাত থেকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে রাজস্ব আদায় কমবেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শীতে করোনার প্রকোপ বাড়বে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বেশ কিছু শর্তে জেলে-বহরদারদেরকে শুঁটকি পল্লিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর করোনা বিধি নিষেধের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুঁটকি আহরণ মৌসুমে দুবলায় একটি অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র থাকবে।
- নতুন ধরনের প্রতারণার কথা জানাল পুলিশ
- আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল এক্স ডটকম
- নীতিমালা হচ্ছে হিমায়িত মাংস আমদানিতে
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চিঠি
- আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ
- ফিটনেসবিহীন মোটরযান চললেই ব্যবস্থা: বিআরটিএ
- একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবেঃ ইসি আহসান হাবিব
- শিবচর ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- ট্রমাসেন্টারে একমাসের মধ্যে জনবল নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু হবে
- অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে
- বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশ
- শেবাচিমের সংকট কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করেছে: সচিব
- আগামী প্রজন্মের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে
- বরিশালে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে
- মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল
- ক্ষমতার লোভে অপপ্রচারের রাজনীতি বন্ধ করুন
- অপরিপক্ব ফলে সয়লাব রাজধানীর বাজার, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
- ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী
- সিলেটে আরও তিন বিএনপি নেতা বহিষ্কার
- আকাশচুম্বী দাম রুপালি ইলিশের!
- হীরকজয়ন্তীর পর সংগঠনে মনোযোগ দেবে আ.লীগ
- আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয়
- কিরগিজস্তানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাইরে যেতে দূতাবাসের নিষেধ
- সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়
- ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৮৭৬০ জন, আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু
- আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, স্বর্ণালঙ্কারের দামে রেকর্ড
- কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে
- আমদানি নয়, দেশেই রাসায়নিক কারখানা তৈরি করতে চান ব্যবসায়ীরা
- ‘তথ্য দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৩ জন মুখপাত্র’
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?
- গরমে কেন বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ
- সখিপুরে ঘরের মেঝে ৩০ ডিমসহ বিষধর সাপ
- ভেদরগঞ্জে নতুন মুখ, নড়িয়ায় সাবেক বহাল
- গরমে মাথা ঘোরা ও অজ্ঞান হওয়ার কারণ কী হতে পারে?
- দাবদাহে উত্তপ্ত হয়ে বিটুমিন গলে যাওয়া সড়কে দুদকের অভিযান
- শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ সৎবাবার বিরুদ্ধে
- ফেসবুকে কটুক্তিমূলক স্ট্যাটাস, স্বর্ণকার আটক
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের চোখে পানি, মুখে হাসি
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- হাঁপানির কারণে দাঁত-মাড়ির ক্ষয় হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- আমাদের ইভিএম এর ত্রুটি কেউ প্রমান করতে পারেনি-ইসি মো. আলমগীর