• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি ৬ ডিসেম্বর

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০  

ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর আগে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি করলেও এই প্রথমবারের মতো কোনও দেশের সঙ্গে এ ধরনের  চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর এই চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একেএম শহীদুল করিম বাংলা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথম দেশ হিসেবে ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সেই কারণে ওই দিনকে চুক্তি সইয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।’

২০১০ সাল থেকে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি থাকলেও গত বছর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের ঢাকা সফরের পর থেকে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সইয়ের জন্য আলোচনায় গতি পায় বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভুটানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মন্ত্রী এই চুক্তিতে সই করবেন।’

নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তির আলোচনা চললেও ভুটানের সঙ্গে প্রথম এই চুক্তি সই হচ্ছে বলে জানান শহীদুল করিম।

তিনি জানান, এই চুক্তি সইয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি বিশেষ লোগো উদ্বোধন করা হবে।

চুক্তিতে থাকছে যেসব পণ্য

প্রাথমিক অবস্থায় বাংলাদেশের ১১০টি পণ্য ভুটানের বাজারে এবং ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।

বাংলাদেশের পণ্যের মধ্যে রয়েছে—তৈরি পোশাক শিল্প, পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী, যেমন- জুস, কনডেন্সড মিল্ক, বিস্কিট, পাউরুটি, কৃষিজাত পণ্য, যেমন- আলু, প্রসাধনী সামগ্রী, টয়লেট্রিজ পণ্য, যেমন- সাবান ও শ্যাম্পু, শুঁটকি মাছ, সিমেন্ট, চা, প্লাইউড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য।

অপরদিকে ভুটান থেকে বোল্ডার, জিপসাম, ডোলোমাইট, ফল ও জুস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, যেমন- জ্যাম ও জেলি, মসলা, ফার্নিচারসহ অন্যান্য পণ্য।

রাষ্ট্রদূত শহীদুল করিম বলেন, ‘এই পণ্যগুলো প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। তবে এটি সময়ে সময়ে পর্যালোচনা করা হবে এবং এর পরিধি বাড়বে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে পিপিইসহ অন্যান্য তৈরি পোশাক পণ্য সরবরাহ করছে। এছাড়া  ইউনিফর্মও রফতানি করছে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘ভুটানের বাজার মাত্র ছয় লাখ মানুষের। তবে এরমধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এই বাজার পর্যালোচনা করে অন্য দেশের সঙ্গে কীভাবে এগোনো যায়, সেটি বোঝা যাবে।’