• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

রিফাত হত্যা : দুই আসামি জামিনে মুক্ত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২০  

 

বহুল আলোচিত বরগুনা রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

জামিন পাওয়া দুই আসামি হলো মো. নাজমুল হাসান এবং রাতুল শিকদার জয়। এদের মধ্যে নাজমুল এবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচ অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মিন্নিও জামিনে রয়েছেন। এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

এদিকে বুধবার সকালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনজন সাক্ষী। একই সময়ে মিন্নির জামিন বাতিল কেন হবে না মর্মে আদালতের শোকজের জবাব দিয়েছেন মিন্নির আইনজীবী। পরে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মৌখিক আবেদনে মিন্নির জামিন বাতিল আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১০ প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনজন সাক্ষী। তারা হলেন নিহত রিফাতের বন্ধু মঞ্জুরুল আলম জন, রিফাতের প্রতিবেশী মো. আনোয়ার হোসেন এবং জাকারিয়া বাবু। পরে আসামিপক্ষের ১০ জন আইনজীবী তাদের জেরা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে পলাতক মো. মুছা ব্যতীত অন্য নয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে বরগুনার শিশু আদালতে এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন রিফাতের চাচা আব্দুল আজিজ শরীফ ও বোন ইসরাত জাহান মৌ। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মুজিবুল হক কিসলু বলেন, বুধবার সকালে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, বুধবার বিকেলে বরগুনার শিশু আদালতে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন রিফাতের চাচা ও বোন। এ নিয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২১, ২২ এবং ২৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মুজিবুল হক কিসলু বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. নাজমুল হাসান এবং রাতুল শিকদার জয়ের জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

এ বিষয়ে মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, মিন্নির জামিন কেন বাতিল হবে না- এ মর্মে আদালতের দেয়া শোকজের জবাব আমি দাখিল করেছি। উভয়পক্ষের আইনজীবীদের আবেদনে শোকজের জবাবের শুনানির জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

তিনি আরও বলেন, মিন্নি জামিনে থাকা অবস্থায় কোনো প্রকার জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেনি। মিন্নিকে হয়রানি করার জন্য জামিন বাতিলেন আবেদন করা হয়েছে। একটি মেয়ে অপরিচিত পাঁচজন যুবক নিয়ে দূরে সাক্ষীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; এ দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।

গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।