• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

আদালতে মজনুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২০  

রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে তাকে ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় হাজির করা হয়। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মজনু জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

এর আগে আলোচিত এই ধর্ষণ মামলায় গত ৯ জানুয়ারি মজনুকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। রিমান্ড শেষের আগের দিন গতকাল তদন্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক আদালতে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুরের পর তাকে খাস কামরায় নেয়া হয়।

এ ঘটনায় গত ১০ জানুয়ারি ওই ছাত্রী ঢাকার মহানগর হাকিম ইয়াসমিন আরার কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। বিচারক ২৮ জানুয়ারির মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে নেমে ধর্ষিত হন। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ঘটনার দিন রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাচাই-বাছাই শেষে পরদিন অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

আলোচিত ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করা হয়। আর তিন দিনের মাথায় ৩০ বছর বয়সি মজনুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব জানায়, মজনু ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’। তিনি বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক নারীদের ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীও তাকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করেছেন বলে র‌্যাব সেসময় জানায়।

পুলিশের এই এলিট ফোর্সটির ভাষ্য অনুযায়ী, ‘মাদকাসক্ত’ মজনু স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদে পেশা হিসেবে দিনমজুরি ও হকারির কথা বললেও মজনু ‘ছিনতাই, রাহাজানি, চুরির মতো কাজেও’ জড়িত ছিলেন।

গত ৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ওই ঢাবি ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বান্ধবীর পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।