• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

খালাস চেয়ে হাইকোর্টে মিন্নির আবেদন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২০  

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) মিন্নির পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম এ আবেদন করেন।

এর আগে মিন্নির স্বাক্ষর করা ওকালতনামা ও মামলার রায়ের সইমোহরকৃত কপি নিয়ে গত ৪ অক্টোবর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর রায়ের কপি নিয়ে হাইকোর্টে আইনজীবী জেডআই খান পান্নার কক্ষে আসেন।

ওই দিন (৪ অক্টোবর) সকালে মিন্নিসহ ছয় আসামির ডেথ রেফারেন্স নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। রায়ের কপি হাইকোর্টে আসার পর আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারবেন। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই আপিল আবেদন করেন আইনজীবীরা।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। রায়ে অপর চার আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার পর রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় মিন্নিকে। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ওই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর মামলার তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

নিম্ন আদালতে কয়েক দফা জামিন আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন মিন্নি। এরপর ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মিন্নিকে জামিন দেন। সেই জামিন আদেশে বলা হয়, মিন্নি তার বাবার জিম্মায় থাকবেন এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। গত বুধবার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত মিন্নি জামিনে ছিলেন।

আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার তৎকালীন পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। তার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়।

সেই ১০ আসামির বিচার শুরু হয় বরগুনা জেলা ও দায়রা আদালতে। সর্বশেষ গত বুধবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অন্য চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়। একই ঘটনায় পুলিশের দেয়া আরেকটি চার্জশিট অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচার চলছে শিশু আদালতে।