• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ইচ্ছাকৃত খেলাপি না হলে ঋণসুবিধা পাবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২৪  

দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের বিষফোঁড়া বলা হয় খেলাপি ঋণকে। এ সেক্টরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। যার মধ্যে বেশিরভাগই ইচ্ছাকৃত। যাদের কারণে ব্যাংক খাত হুমকিতে।

তবে সব খেলাপিই আবার ইচ্ছাকৃত নয়, কিছু আছে অনিচ্ছাকৃত খেলাপি। নানান সংকটে খেলাপি হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান। এবার অনিচ্ছাকৃত খেলাপি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে এগিয়ে নিতে ঋণ সুবিধার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ঋণসুবিধা দেওয়া যাবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি না হলে এবং খেলাপি হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো যুক্তি সংগত কারণ থাকলে গ্রুপভুক্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান খেলাপি বলে গণ্য হবে না। এমন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ঋণসুবিধা প্রদান করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ২৭কক(৩) অনুযায়ী, কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতার অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনোরূপ ঋণসুবিধা প্রদান করবে না মর্মে উল্লেখ রয়েছে। একই আইনের ৫(গগ) ধারার বিধান অনুসারে পরস্পর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গ্রুপভুক্ত কোনো খেলাপি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা না হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ওই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষেত্রে কারণ যুক্তিসংগত মনে হয় তাহলে ওই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি খেলাপি হওয়ার কারণে গ্রুপের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি খেলাপি বলে গণ্য হবে না। ওইসব প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে।

নতুন এ নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণগ্রহীতা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হলে ওই খেলাপি ঋণগ্রহীতার অনুকূলে কোনো ঋণসুবিধা প্রদান করা যাবে না। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রুপভুক্ত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পর ওই তালিকাভুক্তির বিরুদ্ধে ঋণগ্রহীতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আপিল করলে ওই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রতিষ্ঠানটির অনুকুলে ঋণ প্রদানের আবেদন করা যাবে না।

আবার গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি খেলাপি হওয়ার পরও যদি ঋণসুবিধা পায় তবে সুবিধা গ্রহণের এক বছরের মধ্যে খেলাপিঋণ হিসাবটি বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করে সমন্বয় বা নিয়মিত করতে হবে। যদি এই সময়ে খেলাপি ঋণহিসাব সমন্বয় রতে ব্যর্থ হয় অথবা ঋণহিসাব নিয়মিতকরণের পর পুনরায় খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয় তবে গ্রুপভুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে নতুন করে ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে না।