মশা দিয়ে মশা মারার কৌশল সুইজারল্যান্ডে
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
মশা মারতে কামান দাগার কথা আমরা শুনেছি। কিন্তু বিষে বিষক্ষয়ের মতো মশাকে কাজে লাগিয়ে মশা মারা গেলে কেমন হয়? সুইজারল্যান্ডে এক প্রকল্পে ঠিক সেই চেষ্টাই চালানো হচ্ছে। দেশটির একটি ল্যাবে এশিয়ান টাইগার প্রজাতির মশার সম্ভার দেখার মতো। লার্ভা থেকে শুরু করে পরিণত বয়সের মশার কোনও অভাব নেই। ইউরোপের অন্য কোনও মানুষের বোধহয় গবেষক এলেওনোরা ফ্লাসিওর মতো টাইগার মশার আচরণ সম্পর্কে এত গভীর জ্ঞান নেই।
বহু বছরের প্রস্তুতির পর এলেওনোরা এবার অসাধারণ এক পরীক্ষা শুরু করছেন। তিনি একেবারে নতুন পদ্ধতিতে এই মশার দ্রুত বংশবৃদ্ধি মোকাবিলা করতে চান। নির্বীজ নর মশা ছেড়ে তিনি সেই লক্ষ্য পূরণের কৌশল নিচ্ছেন।
সুইজারল্যান্ডের দক্ষিণে ছবির মতো দেখতে গ্রাম মরকোটেতে গবেষকরা চলতি বছর ২০ লাখ এশিয়ান টাইগার প্রজাতির মশা ছাড়ছেন। মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এলেওনোরা ছোট এই গ্রামের প্রায় ৭০টি বিভিন্ন জায়গায় প্রতি সপ্তাহে কিছু মশা ছাড়ছেন। তবে লাখ লাখ মশা ছাড়া হলেও গ্রামের বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।
এলেওনোরা বলেন, ‘‘আসলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। এগুলো নর মশা; যা মানুষকে কামড়ায় না। শুধু উড়ে বেড়ায়। কয়েকদিন পরই মরে যায়।’’
নর মশার এত কম আয়ুর কারণ স্পষ্ট। নির্বীজ করার প্রক্রিয়া, ল্যাবের ধকল ও পরিবহণের কারণে সেগুলো বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আয়ু কম হওয়া সত্ত্বেও মাদী মশার কাছে সেগুলো আকর্ষণীয়। নর মশাকেও প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে হয়। নির্বীজ নর মশার বিশাল সংখ্যার কারণে মাদি মশাগুলো তাদের এড়িয়েও চলতে পারে না।
এলেওনোরা ফ্লাসিও বলেন, ‘‘স্টেরিলাইজড নর মশা মাঠে চরে বেড়ানো স্বাভাবিক মাদী মশার সঙ্গে মিলিত হয়। মিলন ঘটলে মাদী মশা সারা জীবন আর সন্তান ধারণ করতে পারে না।’’
এভাবে শেষ পর্যন্ত টাইগার মশার গোষ্ঠীর বিনাশ ঘটানো যেতে পারে। পরীক্ষামূলক এলাকায় টাইগার মশার সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমানোই এলেওনোরার লক্ষ্য। ইতালির বোলোনিয়া শহরে কৃষি ও পরিবেশ কেন্দ্রে স্টেরাইল নর মশার প্রজনন ঘটানো হয়। ডিম পাড়ার সময়েই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়। খাঁচার মধ্যে মশার মিলন ঘটে। মাদী মশাকে নিয়মিত পশুর রক্ত খাওয়ানো হয়। কারণ রক্ত না চুষে খেলে সেগুলো ডিম তৈরি করতে পারে না।
সেই ডিম এক সপ্তাহের মধ্যেই লার্ভায় পরিণত হয়, তারপর পিউপা বা গুটিপোকায় রূপ নেয়। এই স্তরেই তথাকথিত ‘ডাইমেনশন অ্যানালিসিস’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নর ও মাদী আলাদা করা হয়। নর মশা মাদী মশার তুলনায় আকারে ছোট। ফলে শুধু চেহারার ভিত্তিতেই সেগুলোকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আলাদা করা যায়। পিউপাগুলোকে পানির মধ্যে ফেলে এক্সরে করা হয়।
ফলে প্রজনন অঙ্গগুলো সবচেয়ে সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া দেখায়। এভাবে নর মশা নির্বীজ হয়ে পড়ে। তবে প্রাণে বেঁচে যায়। এই প্রক্রিয়া অবশ্য এখনো খুবই ব্যয়বহুল। এক হাজার স্টেরিলাইজড মশার দাম প্রায় ৬০ ইউরোর মতো। ফলে চলতি বছরের এক্সপেরিমেন্টের জন্য প্রায় দুই লাখ ইউরো ব্যয় হচ্ছে।
তবে পরীক্ষা সফল হলে এবং আরো বড় আকারে এই প্রক্রিয়ার প্রয়োগ শুরু হলে ব্যয় এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। এলেওনোরা ফ্লাসিও বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, যে কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া অনেক সস্তা হয়ে যাবে। বাণিজ্যিক স্বার্থ দেখা দিলেই ব্যয় কমে যাবে। অর্থাৎ এই প্রযুক্তি তেমন ব্যয়বহুল নয়। বড় আকারে কাজে লাগালেই ব্যয় কমে যাবে।’’
প্রক্রিয়াটি সফল হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকল্পটি আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। বিশেষ করে যে সব দেশে টাইগার প্রজাতির মশা মানুষের জীবন বিপন্ন করছে, সেখানে এই প্রক্রিয়া কাজে লাগবে।
- প্রস্রাবের যে সমস্যা মূত্রথলির রোগের লক্ষণ
- জেনে নিন খাবার স্যালাইনের সঠিক ব্যবহার
- প্রাণ জুড়াতে কাঁচা আমের আইসক্রিম
- ফোনের বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করবেন যেভাবে
- সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি: অভিযুক্তের আত্মহত্যা
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে
- অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ
- বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া
- এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস
- সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
- চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ
- সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন
- রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ
- চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা
- প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- দেশের গণমাধ্যমে ৩ গুণ বেড়েছে ভুয়া খবর
- আমাদের ইভিএম এর ত্রুটি কেউ প্রমান করতে পারেনি-ইসি মো. আলমগীর
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেই
- গৌরনদীতে ৪ কেজি গাঁজা ও ১০৩ পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- ভোলায় কোস্ট গার্ডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ
- ইলিশ শিকারে নেমেছে জেলেরা, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আশা
- র্যাবের অভিযানে শেবাচিম থেকে দালাল চক্রের ২৫ সদস্য আটক
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার
- ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, পরীক্ষার্থী প্রায় ৯৫ হাজার
- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিটিংয়ের মাধ্যমে আয় সম্ভব : পরিবেশমন্ত্রী
- শেষ হলো ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা
- দেশের বিভিন্ন স্থানে মহান মে দিবস পালিত
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খান এই ৫ পানীয়
- শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
- শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
- ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু বেনাপোল বন্দরে
- গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় ইউপি সদস্যর কান্ড
- গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- মুজিব নগর সরকার গঠনের পরই বিশ্বের স্বীকৃতি পায়