• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

ইতিহাসের এই দিনে

কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৯  

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার। ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৯১০- জর্জ ক্লদ প্যারিস মোটর শোতে প্রথম আধুনিক নিয়ন আলো প্রদর্শন করেন।  
১৯২৫- চূড়ান্ত লোকার্নো চুক্তি স্বাক্ষরিত।
১৯৫৫- বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭১- ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়। মাত্র ১৩ দিনের এ যুদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম স্বল্পদৈর্ঘ্যের যুদ্ধের মধ্যে একটি।

জন্ম
১৩৬৮- ফ্রান্সের রাজা ষষ্ঠ চার্লস।
১৮৮৯- বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু।
১৯৩৫- চিত্রশিল্পী ও উদ্যোক্তা নিতুন কুণ্ডু।
১৯৩৬- শিক্ষাবিদ, কবি ও লেখক আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
১৯৭০- সাবেক ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড় ক্রিস্তিয়ান কারেম্ব্যু।

মৃত্যু
১৮৬৮- উনিশ শতকের বাঙালি জজ হরচন্দ্র ঘোষ।
১৯৫৬- বিংশ শতাব্দীর অন্যতম বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তার প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্ম ১৯ মে ১৯০৮, বিহারে (বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা শহরে)। তার রচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, নিয়তিবাদ ইত্যাদি। ফ্রয়েডীয় মনঃসমীক্ষণ ও মার্কসীয় শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন তিনি। যা তার রচনায় ফুটেও উঠেছে। জীবনের অতিক্ষুদ্র পরিসরে তিনি রচনা করেন ৪২টি উপন্যাস ও দুই শতাধিক ছোটগল্প।

তার রচিত পুতুলনাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি উপন্যাস ও অতসীমামী, প্রাগৈতিহাসিক, ছোটবকুলপুরের যাত্রী ইত্যাদি গল্প সংকলন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। ইংরেজি ছাড়াও তার রচনাগুলো বহু বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর, মাত্র ৪৮ বছর বয়সে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী এ কথাসাহিত্যিকের জীবনাবসান ঘটে।