• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

প্রি-ডায়াবেটিস কী? সুস্থ থাকার উপায়

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৪  

বর্তমান বিশ্বের প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। জীবনযাত্রায় অনিয়ম এ রোগের মূল কারণ। ছোট-বড় সবাই এ সমস্যায় ভুগছে এখন।
ডায়াবেটিস হলো একটি ক্রনিক অবস্থা। এক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ইনসুলিন তৈরি না হওয়া বা ইনসুলিন কমে যাওয়ার কারণে যে কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন।

সাধারণত দু’ধরনের ডায়াবেটিস হয়- টাইপ ১ ও টাইপ ২। ছোটবেলায় কারো ডায়াবেটিস হলে তা হলো টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন প্রাপ্ত বয়স্করা। তবে প্রি-ডায়াবেটিস সম্পর্কে কি কারও ধারণা আছে?

প্রি-ডায়াবেটিস হলো এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যখন আমাদের শরীরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রা থেকে বেশি থাকে, কিন্তু সেটা এতটাও বেশি না যে একে ডায়াবেটিস রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার একটি বড় লক্ষণ হলো এই প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থা। প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার আশঙ্কা ৫০ শতাংশ হয়ে থাকে।

শনাক্ত

প্রি-ডায়াবেটিস শনাক্ত করার পদ্ধতি ডায়াবেটিসের মতোই।

রোগীকে সকালে খালি পেটে একবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে হয়, তারপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পান করিয়ে দুই ঘণ্টা পর আরেকবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস দুটিই শনাক্ত করা হয়। পরীক্ষার পর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ৫-এর নিচে থাকলে নরমাল হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু ৬.৫-এর বেশি হলে পূর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে গণ্য করা হয়। মূলত এই ৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকলে তাকে প্রি-ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। পরীক্ষা করার এই পদ্ধতির নাম ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট।

লক্ষণ

প্রি-ডায়াবেটিসের এমন কোনো লক্ষণ নেই, যার মাধ্যমে নিশ্চিত করেই আমরা বলতে পারি যে একজন ব্যক্তি এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সাধারণ যে লক্ষণগুলো আমাদের শরীরে দেখা গিয়ে থাকে সেসবের মধ্যে রয়েছে-

> তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া।

> ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

> ক্লান্তি।

> চোখে ঝাপসা দেখা।

> ঘা শুকাতে সময় নেওয়া।

এগুলো মূলত ডায়াবেটিসের লক্ষণ।

করণীয়

আমরা চাইলেই কিছু নিয়ম মেনে চলে এই শারীরিক সমস্যা থেকে বাঁচতে পারি।

এসব নিয়মের মধ্যে রয়েছে-

> নিয়মিত ব্যায়াম করা।

> অতিরিক্ত পরিমাণে না ঘুমিয়ে নিয়মিত একটা সময়ে পরিমিত পরিমাণে ঘুমিয়ে নেওয়া।

> ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।

> খাদ্য তালিকায় প্রচুর ফাইবারযুক্ত খাবার রাখা। লো কার্ব ডায়েট মেনে চলা।

> ডাক্তার যদি ওষুধ দেয় তবে তা নিয়মমাফিক সেবন করা।