• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমান সরকারের সাফল্য

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

স্বাধীনতা উত্তরকালে বঙ্গবন্ধুর সরকারই প্রথম এ দেশের পল্লী অঞ্চলের সাধারণ মেহনতি মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা বিবেচনা করে, চিকিৎসা সেবাকে থানা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে থানা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স চালু করেন, চিকিৎসকদের সরকারী চাকুরীতে সম্মান ও মর্যাদার কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেনী থেকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নীত করেছিলেন যা দেশের চিকিৎসক সমাজ চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

তার’ই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি ৬০০০ জনগোষ্ঠির জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে স্বাস্থ্য সেবাকে আরো প্রান্তিক পর্যায়ে পৌছে দিয়েছেন যা শুধু বাংলাদেশে নয় আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে প্রসংশিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত সরকার নিছক দলীয় বিবেচনায়, প্রতিহিংসামূলকভাবে উক্ত কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প বাতিল করে জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহনের স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ১৩৩৩৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং গ্রামের জনসাধারন’ তার সুবিধা ভোগ করছে।

তৃণমূল পর্যায়ের চিকিৎসকদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি-৪ ও ৫ এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হ্রাস করায় জাতিসংঘ পুরস্কার তুলে দেওয়ায়, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে সমগ্র চিকিৎসক সমাজ এবং গোটা জাতি এই অর্জনকে স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম সাফল্য হিসেবে গৌরববোধ করছে।

বর্তমান সরকারের সাফল্যঃ

★ চিকিৎসকদের বিপুল সংখ্যাক পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসাসেবা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশে অতি দ্রততার সাথে শূন্যপদ সমূহ পুরনের জন্য এডহকসহ বিসিএস এর মাধ্যমে প্রায় ১৫০০০ সহকারী সার্জন নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে, যাহা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ইতিমধ্যে উক্ত চিকিৎসকগণ গ্রামগঞ্জে দায়িত্বরত আছেন। 
অমএছাড়া ১২০০০ নার্স নিয়োগ, নার্সদের ২য় শ্রেণীর মর্যাদা দান।

★ বর্তমান সরকারের আমলে ডিপিসি এবং এসএসবি’র মাধ্যমে মেডিক্যাল শিক্ষক ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের পদসমূহে প্রায় ১০ হাজার পদে পদোন্নয়ন দেওয়া হয়েছে।

★ শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ হিসেবে তার স্থান করে নিয়েছে। 

★সকল উপজেলায় সরকারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সুযোগ সুষ্টি করা হয়েছে। 'স্বাস্থ্য বাতায়ন’ প্রকল্পে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। 

★ সকল জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল সমূহে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে দ্রæততম সময়ের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের ব্যবস্থ্য করা হয়েছে। টেলিমেডিসিন সেন্টার চালু করা মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।

★ সকল সিভিল সার্জনদের জন্য নতুন গাড়ি ক্রয় করা হয়েছে ।

★ইন্টার্নি চিকিৎসকদের  ইন্টানি ভাতা ৬৫০০ টাকা হতে ১৫০০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

★ বিগত বিএনপি জামাত সরকারের সময় ব্যাপক দূনীর্তি ও অনিয়মের মাধ্যমে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষাকে কলুষিত করা হয়েছিল, বর্তমান সরকার অত্যন্ত দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সাথে মেডিক্যাল ওভার সাইট কমিটির মাধ্যমে দক্ষতার সাথে পরিচালোনা করছে।

★ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন সরকারী মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরা হয়েছে। বর্তমানে ৩৬টি সরকারি  মেডিকেল আছে এবং নতুন আরো কয়েকটি মেডিক্যাল প্রস্তাবিত আছে।
এবং ৩ টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এছাড়াও সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে সরকারি মেডিকেলে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮ টি।

★বর্তমান সরকার পূর্বের চেয়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি করেছেন তবে বিএমএ এর দাবী মূল বাজেটের ১০% স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া। কিন্তু এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

★' শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট ' কোরিয়ান সহায়তায় বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে ।  আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিসংবলিত এই ইনস্টিটিউটটি চিকিৎসা, গবেষণা ও অধ্যয়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। ৫০০ শয্যা, ৫০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটারবিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটটি বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পরিণত হবে।
 এ ছাড়া প্রতিটি সরকারী ও বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলা হচ্ছে।

★অনেক হাসপাতালে নতুন ভবন নির্মাণ, দেশের সব হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা আরও উন্নত করা হয়েছে।

★ সরকার বিদেশে ঔষধ রফতানীর মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে। বিশ্বের প্রায় ১২৫টি দেশে বাংলাদেশ বর্তমানে ওষুধ রপ্তানি করছে।

★ মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার এবং জন্মহার হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ১৯৯০ সালে নবজাতক মৃত্যুর হার ১৪৯ থেকে নেমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৩তে।

★রোহিঙ্গাদের সকল ধরনের স্বাস্থ্যসেবা  প্রদান করা হচ্ছে। যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।

★ আগামীতে বর্তমান তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রত্যেক বিভাগে আগামীতে আরও পাঁচটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার, বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা।

★১৩৫০০ টি কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রো ভাইডার পদ সৃষ্টি করা এবং তাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

★ সব সরকারী হাসপাতালে রোগীপ্রতি খাবারের বরাদ্দ দ্বিগুণ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া নতুন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৩৬টি।

★দেশে এই প্রথম জেলা হাসপাতালগুলোতে কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

★ জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্র্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের দু’বছর আগেই অর্জন করে ফেলেছে। 
যার ফলে সরকারের প্রধানমন্ত্রী এমডিজি এ্যাওয়ার্ড ২০১০, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির সফল প্রয়োগের জন্য সাউথ-সাউথ এ্যাওয়ার্ড ২০১১-সহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।

এইসব সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার আগামী দিনেও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ও প্রতিটি মানুষের কাছে যথা্যথ  স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগ এর ঘোষিত  ইশতেহারেও  স্বাস্থখাত যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।