• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জন্মদিন পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ  সংগ্রাম স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা" এই প্রতিপাদ্যের মাঝ দিয়ে ভেদরগঞ্জউপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯৩ তম জন্মদিন নানান আয়োজনে পালন করেছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট)  বেলা ১২ টায়  ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন মোড়ল, যুদ্ধকালিন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান রাড়ী, উপজেলা প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী, সিনিয়র উপজেলা মৎস অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মেডিকেল অফিসার  ডাঃ মাসুম মিয়া আবিদ,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার,বীর মুক্তিযুদ্ধা  সিকদার আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আব্দুল খালেকসহ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, শিক্ষক সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শৈশব থেকেই তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যোগ্য সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে ছিলেন মহীয়সী এই নারী। যে কারণে রাজনৈতিক জীবনে সফল হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট। গোপালগঞ্জের অজপাড়া গাঁ টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ফজিলাতুন্নেসা। বাবা শেখ জহুরুল হক এবং মা হোসনে আরা বেগমের তিন সন্তানের সবচেয়ে ছোট ফজিলাতুন্নেসা। মা বাবা আদর করে ডাকতেন রেণু।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বাবা মাকে হারিয়ে দাদা, শেখ কাশেমের কাছে বড় হন তিনি। সাত বছর বয়সে দাদা মারা গেলে বঙ্গবন্ধুর মায়ের কাছে চলে আসেন ফজিলাতুন্নেসা। তারপর মাত্র ১৩ বছর বয়সে চাচাতো ভাই শেখ মুজিবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সে থেকেই পাশে ছিলেন যোগ্য জীবনসঙ্গী হিসেবে।
দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। তাতে কখনোই দমে যাননি, একা হাতে সংসার সামলেছেন। তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে শেখ মুজিবকে কখনোই হার মানতে দেননি।

শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে দলের নেতাকর্মীদের কখনোই বিভ্রান্ত হতে না দিয়ে সমস্যা সমাধান করতেন বেগম ফজিলাতুন্নেসা। বঙ্গবন্ধুর পেছনে থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছেন মহীয়সী এই নারী।
একজন যোগ্য জীবনসঙ্গীর উদাহরণ তৈরি করেছিলেন শেখ মুজিব। পচাত্তরের ১৫ আগস্ট একই সঙ্গে শহিদ হন তারা। আর তাই ইতিহাসের পাতায় শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নাম অমোচনীয়।