• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

কমলা চাষ করে সফল শরীয়তপুরের রোকন মাল

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৩  

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে চায়না কমলাবাগান করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষক রোকন মাল। তাঁর বাগানের দেড়শতাধিক গাছে থোকায় থোকায় কমলা ধরেছে। কমলা আকারে যেমন বড়, তেমন স্বাদেও খুব মিষ্টি।

এই বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার ফলচাষিরা। ভালো ফলন দেখে উৎসাহী হয়ে অনেকেই কমলা চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের জাফর আলী মালেরকান্দি গ্রামে রোকন মালের কমলাবাগান। চার বছর আগে তিনি তাঁর পৈতৃক ৩২ শতাংশ জমিতে ফলের বাগান করেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সেই বাগানে দেড় শতাধিক কমলার চারা রোপণ করেন। গাছগুলোতে ফল এসেছে। প্রতিটি গাছে ২০০ থেকে ২৫০টি করে কমলা ধরেছে।

রোকন মালের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছগুলোয় কমলা ধরে আছে। কোনোটা পেকে হলুদ হয়ে গেছে। আবার কোনোটা সবুজ রয়ে গেছে। রোকন মাল পরিচর্যা করছেন বাগান। তিনি বলেন, গত বছরও ফল ধরেছে, তবে তেমন সাফল্য পাননি তিনি। কিন্তু তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবছর ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। সর্বোচ্চ আড়াই শতাধিক কমলা ধরেছে একটি গাছে। সামনে ফলন আরও বাড়বে।

রোকন মাল কমলার চাষের সাফল্য দেখে তাঁর নিজ এলাকা তো বটেই, আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন কমলা চাষে উৎসাহী হচ্ছেন।  

কথা হয় জাফর আলী মালের কান্দি এলাকার লিটন হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, রোকন মালের বাগানের কমলা ভালো ফলন দেখে তিনি নিজেও কমলা চাষ করবেন বলে জানান।

এছাড়া আশপাশের উৎসাহী লোকজনসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার লোকজন এসেছেন কমলার বাগান দেখতে। ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এলাকার মো. শরীফ হোসেন জানান, তিনিও কমলাবাগান করতে আগ্রহী। রোকন মালের বাগানে ভালো ফলন হয়েছে শুনে দেখতে এসেছেন।

রোকন মাল জানান, ২০২০ সালে আমার বড় ভাই সৌদি প্রবাসী শামছুল রহমান খোকন ইউটিউবে চায়না কমলাচাষের ভিডিও দেখেন। পরে অনলাইনের মাধ্যমে দেড়শতাধিক কলম কাটা চারা অর্ডার করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার এক নার্সারী মালিকের থেকে। পরে কুরিয়ারে আসলে আমি চারাগুলো সংগ্রহ করি এবং রোপন করি। গতবছরও গাছে কমলা ধরেছিল। কমলাগুলো প্রায় এক লাখ টাকা বিক্রি করেছি। তবে গতবছরের চেয়ে এ বছর অনেক বেশি কমলা ধরেছে।

জেলা কৃষি বিভাগের (খামারবাড়ি) উপপরিচালক  মো. আবদুস সাত্তার বলেন, সখিপুরে চায়না কমলাবাগান করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন রোকন মাল নামের এক কৃষক। তাকে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামীতে আমরা কমলাগাছ রোপণ ও পরিচর্যার বিষয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ভাবছি।