• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিলুপ্তির পথে  নিপূণ কারিগর বাবুই পাখির বাসা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮  

গ্রামবাংলার অতি পরিচিত বাবুই পাখি তার নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি করতো নিজ বাসা। সেই নিপুণ শৈল্পিকতা তুলে ধরেছেন কবি সাহিত্যিকরা। কালের আবর্তে এই বাবুই পাখির বাসা আজ বিলুপ্ত হতে চলেছে। এখন আর আগের মত চোখে পড়ে না বাবুই পাখির বাসা।
 নারিকেল পাতা, তালের পাতা, খেজুর পাতা, কাশের পাতা, আখের পাতা, লম্বা শক্ত ঘাস এসবের সমন্বয়ে একটি গাছে তিন প্রকারের বাসা নির্মাণ করতো বাবুই পাখি। এর মধ্যে একটি বসবাসের জন্য, একটি ডিম পেড়ে বাচ্ছা ফুটানোর জন্য এবং একটি খাবার সংগ্রহ করে রাখার জন্য। বাসা নির্মাণের জন্য তারা সাধারণত তালগাছকে বেছে নিতো। কারণ অন্যান্য গাছের ডালপালা ঝড়ে ভাঙার সম্ভাবনা বেশী। কিন্তু তালগাছের ডালপালা না থাকায় ভাঙার সম্ভাবনা কম, এক্ষেত্রেও বাবুই পাখির চরম বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। তালগাছ দীর্ঘমেয়াদী গাছ। তাই বাণিজ্যিকভাবে তালগাছের আবাদ হয় না। গ্রামগঞ্জ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে তালগাছ। তাই বাবুই এখন বাসা বাঁধারও জায়গা পায় না। তারপর মানুষ বনবাদাড় সাফ করে সেখানে গড়ে তুলছে সুরম্য অট্টালিকা। তাই বাবুইরা প্রজনন করতে না পারায় ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে  প্রকৃতি এই নিপুণ শিল্পী।
চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচার হাফিজুর রহমান জাহিদ বলেন, এক সময় সাড়িবদ্ধ তালগাছের ছিল বাবুই বাসা। আজ এখন আর সেই বাসা চোখে পড়েনা। বিছিন্ন দ্বীপ ঢালচর , চরকুকরি-মুকরি ও মজিব নগর এলাকার চরাঞ্চলে খেজুর ও তালগাছ নিপূণ শিল্পী বাবু পাখি বাসা বুনে বসবাস করছে। আজ কালের বিবর্তে এখন হারিয়ে যাচ্ছে বাবু পাখিরবাসা।