• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিদায়ী তাওয়াফ ও হাজীদের ঘরে ফেরা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৯  

বিদায়ী তাওয়াফের মাঝ দিয়ে হজের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হচ্ছে আজ। এবার নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পালা। তবে যেসব হাজি এখনো মদিনায় যাননি, তারা পালাক্রমে মদিনা মোনাওয়ারা যাবেন। সেখান থেকে কেউ মদিনা এয়ারপোর্ট হয়ে সৌদি আরব ত্যাগ করবেন, অনেককেই আবার সড়কপথে মদিনা থেকে জেদ্দা হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাবেন।

বিদায়ি তাওয়াফ করা ওয়াজিব। হজরত রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হাজিরা বায়তুল্লাহর সঙ্গে শেষ সাক্ষাত না করে যেন ফিরে না আসে।’ (সহিহ মুসলিম)।

তাই আজ হাজিরা বিদায়ি তাওয়াফ করছেন, কেউ নফল তাওয়াফ করছেন। মিকাতের বাইরে যেসব হাজিরা এসেছেন, তাদের জন্য মক্কা মোকাররমা ত্যাগ করার সময় বিদায়ি তাওয়াফ করা ওয়াজিব। আর যারা মক্কা এলাকার ভেতরে থাকেন, তাদের জন্য বিদায়ি তাওয়াফ মোস্তাহাব।

ফরজ তাওয়াফ করার পর কেউ যদি নফল তাওয়াফ করে থাকেন, তাহলেও তার বিদায়ি তাওয়াফ আদায় হয়ে যাবে। তবে বিদায়ি তাওয়াফ আলাদাভাবে করে নেয়াই ভালো।

হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) একবার বিদায়ি তাওয়াফ করে এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যান। এরপর তিনি আবার বিদায়ি তাওয়াফ আদায় করেন।

তাওয়াফ শব্দের অর্থ হলো প্রদক্ষিণ করা বা চক্কর দেয়া। বাইতুল্লাহ শরীফের চর্তুদিকে তাওয়াফ করা হলো হজ এবং ওমরার জন্য ফরজ রুকন। যা অকট্যভাবে পালন করতে হবে।

আল্লাহ তায়ালার নিকট বাইতুল্লাহর চর্তুদিকে তাওয়াফ করা আর তালবিয়া পাঠ এতই পছন্দনীয় যে, আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন বাইতুল্লাহ শরীফের ওপর ১২০টি রহমত নাজিল করেন। এরমধ্যে শুধুমাত্র তাওয়াফকারীদের জন্য ৬০টি রহমত নির্ধারণ করেছেন। তাওয়াফের রয়েছে কিছু আহকাম ও শর্ত। যা তুলে ধরা হলো-

তাওয়াফের আহকাম:
তাওয়াফের চক্কর পূর্ণ করা। তাওয়াফের স্থানেই তাওয়াফ করা। অর্থাৎ বাইতুল্লাহ শরীফের বাইরে মসজিদে হারামের ভেতরে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফ করতে হবে নিজেকে। কোনো কিছুর ওপর সাওয়ার হয়ে হলেও। অর্থাৎ যে ব্যক্তি তাওয়াফের নিয়ত করবে তাওয়াফ তাকেই করতে হবে। আর হেঁটে তাওয়াফে অক্ষম হলে যানবাহন বা সাওয়ারিতে আরোহন করে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফের শর্ত:
তাওয়াফের জন্য ৬টি শর্ত রয়েছে। এগুলো মধ্যে ৩টি শর্ত সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য। আর ৩টি শর্ত শুধুমাত্র হজের ফরজ রুকন তাওয়াফে জিয়ারাতের জন্যই প্রযোজ্য।

সর্বাবস্থায় পালনীয় ৩ শর্ত:
মুসলমান হতে হবে। তাওয়াফের নিয়ত অর্থাৎ তাওয়াফের ইরাদা বা ইচ্ছা থাকতে হবে।
তাওয়াফ মসজিদে হারামের মধ্যে হতে হবে।

হজের জন্য পালনীয় ৩ শর্ত:
তাওয়াফে জিয়ারত নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া। আর তা হলো ১০ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত। তাওয়াফ ইহরামের পরে হওয়া। আর উকুফে আরাফা অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পরে হওয়া (৯ জিলহজ)।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে তাওয়াফের আহকাম ও শর্তগুলো যথাযথ পালন করে সঠিক ও সুন্দরভাবে তাওয়াফ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।