• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ

নামাজে রুকু ও সেজদায় অপারক ব্যক্তি...

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

নামাজে রুকু ও সেজদা করতে না পারলে কী করবেন?

নামাজ পরিপূর্ণ সহিহ ও শুদ্ধ হওয়ার জন্য আরকান-আহকামগুলো যথাযথ পালন করা জরুরি। যেমন- নামাজের জন্য দাঁড়ানো, যথাযথভাবে রুক ও সেজদা আদায় করা ইত্যাদি।

যারা রোগী মুসাফির কিংবা ভীত তাদের ব্যাপারে হুকুম ভিন্ন। আল্লাহর রহমতের বহিঃপ্রকাশ যে তিনি রোগী, মুসাফির কিংবা ভীত লোকদের জন্য নামাজ আদায়ে ছাড় দিয়েছেন। অর্থাৎ তাদের নামাজ আদায় করতে হবে না, বিষয়টি এমন নয়। বরং নামাজ আদায়ে তাদের যে সমস্যাগুলো হবে, তা বিকল্পভাবে আদায় করবে। যার ফলে তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা নামাজের পরিপূর্ণ সাওয়াব থেকে মাহরূমও করবেন না।

ক্ষমতা অনুসারে অক্ষম ব্যক্তিকে নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু যারা রুকু ও সেজদা যথাযথভাবে আদায় করতে পারে না, তারা কী করবে? তারা কি বিনা রুকু ও সেজদায় নামাজ আদায় করবে? চাই সে দাঁড়াতে কিংবা বসতে সক্ষম অথবা অক্ষম। এ ব্যাপারে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

কোনো রোগী যদি দাঁড়াতে বা বসতে সক্ষম না হয় তবে শুয়ে শুয়ে নামাজ আদায় করবে। প্রচলিত নিয়মে রুকু কিংবা সেজদার করতে না পারলে মাথা, মুখ কিংবা চোখের ইশারায় সেজদা আদায় করবে।

রোগী যদি দাঁড়াতে কিংবা বসতে সক্ষম হওয়া যথা নিয়মে রুকু ও সেজদার সঙ্গে নামাজ আদায়ে অক্ষম ব্যক্তির জন্য রয়েছে অনেক ছাড়। আর তাহলো-

> রোগী যদি দাঁড়াতে ও বসতে পারে কিন্তু রুকু ও সেজদা করতে না পারে তাহলে দাঁড়ানো অবস্থায় ইশারা করে রুকু এবং বসা অবস্থায় ইশারা করে সেজদা করবে।

> যে ব্যক্তি জমিনের উপর সেজদা করতে অক্ষম সে বসে বসে রুকু ও সেজদা করবে। তবে সেজদার সময় রুকুর চেয়ে বেশি নিচু হবে। উভয় হাত হাঁটুর উপরে রাখবে।

> রোগীর জন্য অন্যান্যদের মতো কেবলামুখী হওয়া আবশ্যক। যদি তার কেবলামুখী হতে সমস্যা হয় তবে তার অবস্থা হিসাবে যে দিকে সহজ হয়, সে দিকে হয়ে আদায় করবে। তবে রোগীর যদি জ্ঞান থাকে কিন্তু কোনো হাত, মাথা, দৃষ্টি কিংবা আঙ্গুল কোনোটি সচল তাকে, তবে যে অঙ্গ সচল থাকে তা দ্বারাই ইশারার মাধ্যমে হলেও নামাজ আদায় করতে হবে।

বিশেষ করে- শারীরিক বিশেষ সমস্যার কারণে যদি ধর্মীয় জ্ঞান থাকা বিজ্ঞ চিকিৎসক দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসে এবং উপুড় হয়ে রুকু না করতে কিংবা জমিনে মাথা রেখে সেজদা না করতে পরামর্শ দেয়, তবে তার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণে কোনো বাধা নেই।

সাধারণ অবস্থায় কাবার দিকে পা রেখে নামাজ আদায় বৈধ নয় কিন্তু অপারগ ব্যক্তির জন্য তা বৈধ। সুতরাং রোগ, মুসাফির কিংবা ভীতু লোকের জন্য নামাজে ছাড় নয়; বরং যে যে অবস্থায় থাকবে সে অবস্থার আলোকে নামাজ আদায় করতে হবে। আর এমনটিই আল্লাহ তায়ালার বিধান।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে সর্বাবস্থায় নির্ধারিত অবস্থার আলোকে যথাযথ নিয়মে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।