• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

স্কুলপড়ুয়ারা যেভাবে কোরআন মুখস্থ করবে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২০  

কোরআন তিলাওয়াত ও তা মুখস্থ করা মুমিনের জন্য ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরআন মুখস্থ করার বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কোরআনের হাফেজ-পাঠক সম্মানিত লিপিকার ফেরেশতার মতো। খুব কষ্টদায়ক হওয়া সত্ত্বেও যে বারবার কোরআন মজিদ পাঠ করে সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯৩৭)

এই মর্যাদা নির্বিশেষে সব মুমিনের জন্য প্রযোজ্য। তাই যেকোনো ধারার শিক্ষার্থীরা বা যেকোনো মুসলিম কোরআন মুখস্থ করতে পারে।

মনে সাহস রাখুন

১. এত পৃষ্ঠা কিভাবে শেষ করবেন—এ কথা না ভেবে প্রতিদিন পাঁচ লাইন করে মুখস্থ করুন। এতে তিন দিনে এক পৃষ্ঠা মুখস্থ করতে পারবেন এবং ৬০ দিনে এক পারা মুখস্থ করা সম্ভব।

২. যদি প্রতিদিন মাত্র পাঁচ লাইনও মুখস্থ করেন, তবু মাত্র পাঁচ বছরে পুরো কোরআন মুখস্থ করা সম্ভব। আর সাধারণ রীতি অনুযায়ী মুখস্থ শুরু করলে আপনি দিনে পাঁচ লাইনের চেয়েও বেশি মুখস্থ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তিন থেকে সাড়ে তিন বছরে কোরআন মুখস্থ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ!

 

হিফজ শুরুর আগে যা করণীয়

প্রথমে একজন শিক্ষকের কাছে আরবি বর্ণ ও শব্দের সঠিক উচ্চারণ শিখুন এবং তাঁর কাছে কোরআন দেখে পড়ার অনুশীলন করুন। সম্ভব হলে কোরআনের কয়েকটি সুরা মুখস্থ করে তাঁকে শোনান—যেন দেখে মুখস্থ করার ক্ষেত্রে আপনার ত্রুটিগুলো তিনি চিহ্নিত করতে পারেন। সর্বোপরি মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন।

 

হিফজ শুরু হবে যেভাবে

১. আপনার মেধা ও স্মরণশক্তি অনুপাতে প্রতিদিন একটি নির্ধারিত পরিমাণ মুখস্থ করুন। সর্বনিম্ন পাঁচ লাইন মুখস্থ করার চেষ্টা করুন।

২. প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দুইবার হিফজের জন্য সময় দিন। সকালে নির্ধারিত পরিমাণ মুখস্থ করুন এবং সারা দিন মনে মনে আবৃত্তি করুন। রাতে দেখে তা আরো ভালোভাবে আত্মস্থ করুন। সকাল ও সন্ধ্যায় কমপক্ষে ৪০ মিনিট করে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন।

৩. পরের দিন একজন কোরআনের হাফেজ বা যাঁর কোরআন তিলাওয়াত বিশুদ্ধ তাঁকে মুখস্থ করা অংশটুকু শোনান। কোনো স্থানে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নিন এবং পরের দিন তা আবার শোনান।

 

পেছনের অংশ যেভাবে মনে রাখবেন

১. প্রতিদিন নতুন অংশ মুখস্থ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পেছনের অংশ মুখস্থ রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুযোগমতো পেছনের অংশ বারবার তিলাওয়াত করতে হবে।

২. কোরআন শরিফ মুখস্থ রাখার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো তা নামাজে তিলাওয়াত করা। যতটুকু মুখস্থ হয়েছে, তা ধারাবাহিকভাবে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে তিলাওয়াত করুন। তাহাজ্জুদ, ইশরাক ও আউয়াবিনের অভ্যাস থাকলে সে সময়ও কিছু অংশ তিলাওয়াত করুন।

৩. নামাজে তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে নতুন ও পুরনো অংশের সমন্বয়ও হতে পারে।

৪. রাতে-দিনে বিশ্রামের সময় মনে মনে তিলাওয়াত করুন। বিশেষত ঘুমানোর আগে প্রতিদিনের নতুন মুখস্থ করা অংশটি আগের দিনের অংশের সঙ্গে মিলিয়ে তিলাওয়াত করুন।

৫. একাধিক পারা মুখস্থ হওয়ার পর সম্ভব হলে ধারাবাহিকভাবে পেছনের এক পারা করে একবার দেখে তিলাওয়াত করুন এবং তারপর একবার না দেখে তিলাওয়াত করুন।

৬. দেখে তিলাওয়াত করার সময় ভুলগুলো চিহ্নিত করে রাখুন।

 

নির্ভুল মুখস্থের জন্য করণীয়

১. তাড়াহুড়া না করে ধীরস্থিরভাবে মুখস্থ করা।

২. পূর্ণ মনোযোগসহ তিলাওয়াত করা। একসঙ্গে মুখে পাঠ করা, চোখে দেখা ও কানে শোনা আবশ্যক। ৩. মুখস্থ অংশ শোনানোর সময় যেসব জায়গায় ভুল ধরা পড়ে—তা চিহ্নিত করে রাখা এবং পরবর্তী সময় এসব শব্দ ও তার উচ্চারণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা। ৪. একই ভুল বারবার হলেও ধৈর্য না হারিয়ে আরো গভীর মনোযোগসহ তিলাওয়াত করা আবশ্যক। অভিজ্ঞ কাউকে মুখস্থ অংশ শুনাতে চেষ্টা করুন।