খুলে যাচ্ছে পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনার দুয়ার
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে পর্যটন এলাকা নেহাতই কম নয়। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ জলাবন বাংলাদেশে অবস্থিত। প্রাচীন পুরাকীর্তি, অবকাঠামো কিংবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রায় সকল দিক থেকেই দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে পছন্দনীয় বাংলাদেশ। অতীতে পর্যটন খাতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে এদেশের পর্যটন খাত ভ্রমণপিপাসুদের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রায় ব্যর্থ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এ খাতের বর্তমান অবস্থা ভিন্ন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এ খাতের চিত্র পাল্টাতে থাকে। সরকারের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের পর্যটন খাত রাজস্ব আয় বাড়াতে অবদান রাখছে। পর্যটন খাতের জৌলুশ বাড়ানোর জন্যে সরকার ২০১৬-২০১৮ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে নানা উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ২০০৯ সাল থেকে গত নয় বছরে ৬ হাজার ৬৯৯ দশমিক ১৬ কোটি টাকা পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে আয় হয়েছে। বর্তমানে দেশের পর্যটন খাত জিডিপিতে ২ দশমিক ১ শতাংশ অবদান রাখছে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যটন শিল্পের সর্বোচ্চ বিকাশে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। পুরো দেশকে ৮টি পর্যটন জোনে ভাগ করে প্রতিটি স্তরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে।
পর্যটনের স্থান হিসেবে এদেশে আছে ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, সিলেট ও তিন পার্বত্য জেলা, পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এবং বিভিন্ন জেলায় বেশকিছু ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। সেন্টমার্টিন, রামু, চকরিয়ায় প্রাচীন স্থাপনাগুলো দেখতে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।
পাহাড়ি জেলা বান্দরবানের নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতে। এছাড়াও নীলগিরি, ডিম পাহাড়, থানছি-আলীকদম সড়ক, বগা লেক, কেওক্রাডংয়ের চূড়া, নাফাকুম, সাঙ্গু নদী, স্বর্ণজাদি ও বেশকিছু ঝর্ণা আছে সেখানে।
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেক, ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি, শুভলং, সাজেকসহ বেশকিছু স্থান পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খাগড়াছড়িতে আলুটিলার গুহা, টেরেং, রিচাং ঝর্ণাসহ অনেক দর্শনীয় স্থানও পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।
পর্যটন নগর চট্টগ্রামে আছে ফয়’স লেক, বাটালী পাহাড়, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকত, ইতিহাসের নীরব সাক্ষী ওয়ার সিমেট্রি, আদালত ভবন, চেরাগী পাহাড়, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, সিআরবি, বাটালি হিল, পাথরঘাটা গির্জা, বৌদ্ধ মন্দির, পিকে সেন ভবন, চন্দনপুরা মসজিদ, অলি আউলিয়ার দরগাহ, মাস্টারদা সূর্যসেনের স্মৃতি বিজড়িত অস্ত্রাগার দখলের স্থান, প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদারের স্মৃতিধন্য পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন।
এছাড়া প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদার সৌন্দর্য দেখে মোহিত হন পর্যটকরা। সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়, ইকোপার্ক, গুলিয়াখালী সী-বিচ, মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক, রাঙ্গুনিয়া শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি পার্ক, ভাটিয়ারীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য মন ছুঁয়ে যায় ভ্রমণপিপাসুদের।
পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পর্যটনখাতে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ জনের। পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছিল ২৩ লাখ ৪৬ হাজার, যা মোট কর্মসংস্থানের ৪ দশমিক ১ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিল এর পূর্বাভাস হচ্ছে, গড়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে এই সংখ্যা ২০২৬ সালে ২৮ লাখে পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড সূত্র জানায়, ট্যুরিজম সংশ্লিষ্ট এবং অ্যাভিয়েশন খাতে ২০১৪ সালে যাত্রী ছিলো ৯০ লাখ। ২০৩৫ সালে এই সংখ্যা পৌঁছবে ২২ কোটি ১০ লাখ। ২০১৪ সালে এই খাতে কর্মসংস্থান হয়েছিল ১৩ লাখ। ২০৩৫ সালে ১৪৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৩ লাখ। ২০১৪ সালে এই খাত থেকে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয়েছিলো ৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০৩৫ সালে ১৪২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারের গৃহীত উদ্যোগের কথা নিশ্চিত করেন।
পর্যটনখাতে সরকারের গৃ্হীত উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে, বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ে এ খাত বিশাল অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
- প্রস্রাবের যে সমস্যা মূত্রথলির রোগের লক্ষণ
- জেনে নিন খাবার স্যালাইনের সঠিক ব্যবহার
- প্রাণ জুড়াতে কাঁচা আমের আইসক্রিম
- ফোনের বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করবেন যেভাবে
- সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি: অভিযুক্তের আত্মহত্যা
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে
- অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ
- বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া
- এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস
- সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
- চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ
- সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন
- রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ
- চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা
- প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- দেশের গণমাধ্যমে ৩ গুণ বেড়েছে ভুয়া খবর
- আমাদের ইভিএম এর ত্রুটি কেউ প্রমান করতে পারেনি-ইসি মো. আলমগীর
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেই
- গৌরনদীতে ৪ কেজি গাঁজা ও ১০৩ পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- ভোলায় কোস্ট গার্ডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ
- ইলিশ শিকারে নেমেছে জেলেরা, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আশা
- র্যাবের অভিযানে শেবাচিম থেকে দালাল চক্রের ২৫ সদস্য আটক
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার
- ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, পরীক্ষার্থী প্রায় ৯৫ হাজার
- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিটিংয়ের মাধ্যমে আয় সম্ভব : পরিবেশমন্ত্রী
- শেষ হলো ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা
- দেশের বিভিন্ন স্থানে মহান মে দিবস পালিত
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খান এই ৫ পানীয়
- শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
- শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
- ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু বেনাপোল বন্দরে
- গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় ইউপি সদস্যর কান্ড
- গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- মুজিব নগর সরকার গঠনের পরই বিশ্বের স্বীকৃতি পায়