• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বরিশালকে সর্বোচ্চ পেনশন স্কিমের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৪  

বরিশাল জেলায় প্রথমবারের মতো জেলার সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে জেলার সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এ সভা হয়।

বরিশালে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘরাই, ১০ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্যোক্তারা।

শুরুতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। পরে উন্মুক্ত আলোচনা শেষে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অতিথিরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক বরিশাল শহিদুল ইসলাম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্যোক্তাগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদেরকে এ পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় উদ্যোক্তারা জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বরিশাল জেলাকে সর্বোচ্চ পেনশন স্কিমের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকই এ ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবেন এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তারা আজীবন পেনশন পাবেন। শুরুর দিকে চিন্তা না থাকলেও পরে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদেরও পেনশন কর্মসূচির আওতায় রাখার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তারা টানা ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পরই পেনশন সুবিধা পাবেন। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে।  

এগুলো হচ্ছে- প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হবে।  

‘প্রগতি’ ও ‘সুরক্ষা’ কর্মসূচির আওতায় মাসিক চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ‘প্রবাসী’ কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদার হার ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘সমতা’ কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদা ৫০০ টাকা। এ কর্মসূচিতে সমপরিমাণ অর্থাৎ ৫০০ টাকা করে চাঁদা দেবে সরকার।