• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

উপজেলা নির্বাচনও আমরা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করবো

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ সাবেক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছে,আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘প্রার্থীতা উন্মুক্ত’ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের নিজ নিজ যোগ্যতা প্রমাণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ আওয়ামিলীগ আমাদের দুই উপজেলা ভেদরগঞ্জ ও নড়িয়ায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু  এবং শান্তিপুর্ন নির্বাচন উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তবে ওই নির্বাচনে যেন কোনো সংঘাত না হয় সে বিষয়েও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সখিপুর থানা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের  বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী আবুল হাসেম অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত হয় এ সভা।

সখিপুর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির মোল্লা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন  শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সিকদার,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে। সখিপুর থানা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকারের সঞ্চালনায়  বক্তব্য রাখেন সখিপুরে ৯ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গন,কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীগন,সকল ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক গন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা প্রার্থী হতে চান তাদের উদ্দেশ্যে এনামূল হক শামীম বলেন, ‘১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন, কারা করতে পারেননি, সেটাও যাচাই-বাছাই হয়ে যাবে। জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা, সেটাই দেখব।’ এটা আমার কথা নয়।এটা আমাদের সকলের নেতা,বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এঁর কথা।তিনি আরও বলেন, ‘কোনো রকম সংঘাত চাই না। যিনি এর সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে নানা চক্রান্ত হয়েছে মন্তব্য করে শামীম এমপি বলেন, ওই নির্বাচনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। এরপরও নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নৌকা ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। নৌকার বিরুদ্ধে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন করেছেন। অনেকে বিজয়ীও হয়েছেন। তবে এবার তাদের বিদ্রোহী বলা হয়নি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। প্রার্থিতা উন্মুক্ত না থাকলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করা হতো। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার অর্জন নস্যাৎ হয়ে যেত।'পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেটা এখনও তাদের বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় খুনোখুনি হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনটা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।’

সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কাজ করতে হবে। যদি কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেটা সমাধানের জন্য আমরা আছি। কিন্তু নিজেদের মধ্যে কোনো আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয়; সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে জেনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ না না নিয়ে ভোট  বানচাল করতে চায়। আর বার বার ব্যর্থ হয়ে জনগন থেকে প্রত্যাক্ষাত হচ্ছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণের সংগঠন, এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি কিংবা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল পকেট থেকে এ সংগঠন বের হয়নি। এ সংগঠন মাটি-মানুষের ভেতর থেকে বেড়ে উঠেছে। মানুষই এ সংগঠনের বড় শক্তি।’