• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে জাতীয় পাট দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৪  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ “বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ,স্মাট পাট শিল্পের বাংলাদেশ”। এ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ (বুধবার) র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে শরীয়তপুরে জাতীয় পাট দিবস পালন করা হয়।

এ উপলক্ষে বুধবার(৬মার্চ) সকাল ১০টায় জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)  মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুদ্দিন গিয়াস। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সাঈদ, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলী সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাইন উদ্দিন। সহকারি কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা শংকর রঞ্জন সরকার, বক্তব্য রাখেন পাট ব্যবসায়ী তোফায়েল আহম্মেদ, চাষী মোঃ খলিলুর রহমান দপ্তরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন,চলতি বছর পাটের চাষ ও উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। এর আওতায় সারা দেশের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ জন ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও মাঝারি কৃষক বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছে।

আজ পাট দিবস। সোনালি আঁশখ্যাত পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। পাট খাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম ক্ষেত্র। দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মানানসই পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে-বিদেশে পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত।

বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ৩ শতাংশ পাট থেকে আসে। এ দেশের প্রায় ৪০ লাখ কৃষক পাটের ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানিতে পাট খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

বিশ্বের শীর্ষ পাট উৎপাদনকারী দেশ এখন বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সর্বশেষ স্ট্যাটিস্টিক্যাল বুলেটিনের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতে পাটের উৎপাদন ৯ লাখ ৮০ হাজার টন। আর বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১৪ লাখ ৮ হাজার টন।

 ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

আধুনিকায়ণ ও বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পাটের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকারের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।