• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শেখ হাসিনার মতো কৃষি বান্ধব সরকার প্রধান আর নাই

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি বাংলাদেশি খাদ্য বিদেশে রফতানিও করা হয়। কৃষিতে দেশের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। তিনি করোনা ও রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আসন্ন সংকট থেকে মুক্তির উপায় নির্ধারনে আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে  সরকার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করছে।বুধবার (৩০  নভেম্বর) সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ  উপজেলা পরিষদের মাঠে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কৃষি উন্নয়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে প্রায় ২ কোটি কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড দেওয়া হয়েছে। আজও আমরা প্রায় অর্ধকোটি টাকার কৃষি পন্য বিনামূল্যে বিতরণ করলাম। কৃষককে মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সারের দাম কয়েক দফা কমিয়ে বর্তমানে সারের দাম ইউরিয়া ২২ টাকা কেজি,টিএসপি ২২ টাকা কেজি, ডিএপি ১৬ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা কেজি। আর বিএনপির সময়ে ছিল টিএসপি ৮০ টাকা, এমওপি ৭০ টাকা,  ডিএপি ৯০ টাকা, ইউরিয়া ২০ টাকা কেজি। সারে অন্যান্য বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হলেও এ বছর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারের দাম বেড়ে গেছে, ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। তারপরও সারের কোন ঘাটতি নেই। কৃষি প্রণোদনা ও পূনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় প্রতি বছর কয়েক লাখ কৃষককে বিনামূল্যে ভালো মানের উন্নত জাতের বীজ,  সার ও অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে যার আওতায় ৫০% থেকে ৭০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে যার আওতায় বিনামূল্যে বীজ, সার, ফলের চারা, সেচ যন্ত্র দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বে ধান উৎপাদনে ৩য়, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আম উৎপাদনে ৭ম, কাঠাল উৎপাদনে ২য়,আলু উৎপাদনে ৭ম, পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম, ফসলের জাত উদ্ভাবনে প্রথম, পাট উৎপাদনে ২য়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে ৩য়, ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। বর্তমান সরকার কৃষি গবেষণা জোরদার করছে। এর ফলে ধান, গম, পাট, সবজি ও ফলের কয়েক শত উন্নত জাত উদ্ভাবন ও কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ হয়েছে। বর্তমানে শুধুমাত্র ধানের উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রীড জাত রয়েছে ১০০ টির উপরে।

এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না।
উপমন্ত্রী আরও বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা এঁর সুনিদ্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে কৃষকের জন্য বিতরণ কালে কৃষি যন্ত্রপাতি যাতে সঠিক ব্যাক্তির হাতে পৌছে তার নিশ্চিতের জন্য আমাদের মাঠে থেকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। তারই অংশ হিসেবে আজ আমি ও আমাদের এমপি নাহিম রাজ্জাক এখানে এসেছি।  আমাদের কৃষি উন্নয়ন বাড়াতে হবে জলাবদ্ধতা নিরোশন করবো।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো কৃষি বান্ধব সরকার প্রধান আর নাই। আমাদের জেলা খাদ্যে সংসম্পুর্ন না হলেও আমাদের ভেদরগঞ্জে ধানের উৎপাদন বেশী হয়েছে।
 ভেদরগঞ্জ  উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক, জেলা আওয়ামীলীগের  সাধারণ সম্পাদক  অনল কুমার দে, ভেদরগঞ্জ উপজেলা  পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির মোল্লা, জেলা পরিষদ সদস্য এম এ কাইয়ুম পাইক, জেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সিকদার, উপজেলা সহকারি কমিশনার মোঃ ইমামুর হাফিজ নাদিম, ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন মোড়ল, উপজেলা  কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম। সখিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান হাওলাদার, ভেদরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাহালুল খান বাহারসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন উপস্থিত ছিলেন।