• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

শরীয়তপুরে জাতিয় পাট দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ ‘পাট শিল্পের অবদান স্মার্ট-বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে,সোমবার (৬ মার্চ)। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শরীয়তপুর জেলাপ্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতিয় পাট দিবসটি পালিত হয়েছে। জেলার কর্মসূচীর মধ্যে ছিল র‌্যালি আলোচনাসভা ও পাটচাষীদের সম্মাননা প্রদান।
 জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ তালুত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা, শরীয়তপুর পৌরসভা মেয়র এ্যাড পারভেজ রহমান জন।
এর পূর্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন,পাটের সাথে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি বিবেচনায় ২০১৬ সালে প্রতি বছর ৬ মার্চ জাতীয়ভাবে পাট দিবস আয়োজনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরের বছর থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, ‘সোনালি আঁশ পাট বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। পাটখাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম ক্ষেত্র। বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃত শ্রমঘন পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
 মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটচাষি, পাটশিল্পের শ্রমিক-কর্মচারী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ উৎপাদন এবং বিপণনের সঙ্গে সংশি¬ষ্ট সবাইকে নিয়ে ভাবেন। তার জন্যই  তিনি পাট উৎপাদন ও পাটশিল্প পন্য বাজার জাত করণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।  জেলাপ্রশাসক বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটশিল্পের উন্নয়নে নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতা পাটখাতের হারানো ঐতিহ্যকেপুনরুদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে এখাতকে অধিক সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ওপর প্ল¬াস্টিক ও পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশীয়-আন্তর্জাতিক বাজারে পাট-পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বলসম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ‘পণ্যে পাটজাতমোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’,‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ এবং ‘চারকোল নীতিমালা ২০২২’ প্রণয়ন পাটখাতের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ নীতি সহায়তা হিসেবে কাজ করছে। পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধিরপাশাপাশি আমাদের সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশের বহুমুখী পাটপণ্য একদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।’
আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছর ধরে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে ‘রোল মডেল’। আমরা মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে নিয়ে এসেছি। আমাদের উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। প্রতিষ্ঠিত হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তথা জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’।
 পাটচাষিদের অত্যন্ত  পরিশ্রমী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর বিশ্বাস বাংলাদেশের মাটি এই অর্থকরী ফসল চাষের বিশেষ উপযোগী। সুতরাং আমাদের শ্রম, মেধা, গবেষণালব্ধ ফলাফল, পাটের বহুমুখী পণ্যের সম্ভার, সম্প্রসারণশীল বাজার এবং সরকারি-বেসরকারি সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পাটখাত উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে ।