• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে কাজল হত্যায় ১ জনের ফাঁসি, তিনজনের যাবজ্জীবন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় উপজেলায় কিশোরী কাজল আক্তারকে (১৪) গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় এক আসামীর ফাঁসি ও তিন আসামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন বাবু চৌকিদার। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী হলেন জুয়েল খান, ফারুক সরদার ও তানভীর আহমেদ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলার কুলকুরি গ্রামের আলাউদ্দিন ছৈয়ালের মেয়ে কাজল আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই এলাকার বাবু চৌকিদারের। কয়েকবার তারা শারীরিক মেলামেশা করে। এক পর্যায়ে কাজল বাবুকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু বাবু কাজলকে বিয়ে করতে রাজি ছিলনা। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে সাত টার দিকে বাবু ফোন করে কাজলকে ডেকে নিয়ে জুয়েল খান, ফারুক সরদার ও তানভীর আহমেদ শামীমের সহযোগিতায় কাজলকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়। পরদিন বাড়ি থেকে ১শ গজ দূরে খালের মধ্যে থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে কাপড় গোঁজা অবস্থায় কাজলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই বাবু চৌকিদারকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশ। বাবুর স্বীকারোক্তিতে তার সহযোগী জুয়েল খান, ফারুক সরদার ও তানভীর আহমেদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন কাজলের বাবা আলাউদ্দিন ছৈয়াল। মামলা তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদালত চার্জ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করে। ১৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষগ্রহণ শেষে আজ বুধবার দুপুর ১টায় মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। এ রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট হলেও আসামী পক্ষ আপিল করবেন বলে কথা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফিরোজ আহমেদ বলেন, কিশোরী কাজল ধর্ষণ ও হত্যা মামলা একটি আলোচিত ঘটনা। আসামীদের সাজা দিয়ে আদালত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট শাহ আলম বলেন, আসামী পক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।