• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

অপহরণের পরে শিশুকে হত্যা :দুইজনের পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সদর উপজেলায় হৃদয় খান নিবিড় (১১) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যা করে অপহরণকারীরা। এঘটনায় মঙ্গলবার ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যালের বিচারক দুইজনের পাঁচদিন ও একজনের তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর একজন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দেয় আদালতে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

নিহত শিশু হৃদয় খান নিবিড় উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকার মনির খানের ছেলে। নিবিড় স্থানীয় শিশু কানন কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

শরীয়তপুরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মির্জা হজরত আলী বলেন, নিবিড়কে হত্যা করা হয়েছিল। সেই অপহরণ মামলায় কিশোর সিয়াম (২০), তুহিন গাজি (১৮), শাকিল গাজি (১৬) ও শাওন চৌকিদারকে (১৭) গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরমধ্যে মিয়াম স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দেয় আদালতে। জবানবন্দিতে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তাই তাকে রিমান্ড দেয়া হয়নি।
আর শাকিল ও শাওনকে পাঁচদিন এবং এই মামলায় বয়স কম হওয়ায় তুহিনকে তিনদিনের রিমান্ড দেয় আদালত। শরীয়তপুর শহরের আলোচিত চাঞ্চল্যকর মামলা এটি। পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ তারা অতিদ্রুত গতিতে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। আমরা এই মামলা রাস্ট্রপক্ষে চেষ্টা করবো আসামীদের সর্বচ্চ শাস্তি প্রদান করার জন্য।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনা মতে আমরা আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পেরেছি। আমরা আদালতের মাধ্যমে চার আসামীকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করি। আদালত দুইজনকে পাঁচদিন ও একজনকে তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর একজন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দেয়।

উল্লেখ্য, প্রতিদিনের মতো সোমবার স্কুল থেকে ফিরে খেলাধুলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় নিবিড়। এরপর তাকে আর খুঁজে পায়নি তাঁর পরিবার। সন্ধ্যায় নিবিড়ের মা নিপা আক্তারের মুঠোফোনে কল করে অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার পরিকল্পনাকারী সিয়ামকে গ্রেফতার করে। অপহরণকারী সিয়ামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে তাঁর দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বাড়ির ৫০০ মিটার দূরে পরিত্যক্ত জমিতে (মেসার্স খান ব্রিকস ইটভাটার সংলগ্ন) মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সিয়ামের তিন সহযোগী শাকিল, শাওন ও তুহিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এঘটনায় শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিবিড়ের দাদা। পরে চার আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয়।