• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ র‌্যালি , আলোচনাসভার মধ্যদিয়ে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার(১ অক্টোবর) সকাল ১০ টায়,“সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীণদের  জন্যে  প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রজন্মের ভূমিকা” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রবীণদের অংশগ্রহনে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
 জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিশ্বজিৎ বৈদ্য এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহপরাণ, শরীয়তপুর পৌরসভা মেয়র এ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রবীণ হিতোষী সংঘ শরীয়তপুর জেলা সভাপতি প্রফেসর আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুক আলী দেওয়ান।এতে জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসকারি প্রতিষ্ঠান প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলাপ্রশাসক বলেন, প্রতিবছর ১ অক্টোবর সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস বা বয়স্ক ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালিত হয়। ইউনাইটেড নেশনস ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯০ তারিখে বয়স্কদের জন্য আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসাবে ঘোষণা করার প্রস্তাব করেছিল, যার পরে এই দিনটি ১ অক্টোবর ১৯৯১ থেকে প্রবীণদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালিত হয়।
এই দিনে, আমাদের সকলের কেবল প্রবীণদের প্রতি উদার হওয়ার শপথ নেওয়া উচিত নয়, প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার দায়িত্বও বোঝা উচিত। এই দিবসটি উদযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য হল বয়স্কদের প্রতি বৈষম্য ও অশোভন আচরণ দূর করা। বর্তমান জীবনধারা এবং ছোট পারিবারিক সংস্কৃতিতে বয়স্কদের সুস্থ ও সুখী রাখা আগের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।
একটি ভালো সামাজিক জীবন বয়স্কদের মানসিক, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, সামাজিক ব্যস্ততা বয়স্কদের ইতিবাচক মেজাজ বজায় রাখে। অতএব, অবসর নেওয়ার পরেও, আপনার সামাজিক জীবন বজায় রাখুন, যাতে আপনি এটিকে পরেও এগিয়ে নিতে পারেন।বয়স্কদের গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমাতে তাদের সুষম খাদ্য দিতে হবে।
বয়স্ক ব্যক্তিদের তাজা খাবার খেতে হবে এবং বেশি করে জল ও তরল পান করতে হবে। বয়স্কদের উপযুক্ত পরিমাণে ফল, সবজি এবং গোটা শস্য দিতে হবে।যদি বাড়িতে বয়স্করা থাকেন, তাহলে তাঁদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোনও জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য একটি পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে অক্সিমিটার, বিপি মেশিন, সুগার টেস্টিং মেশিন, নেবুলাইজার, থার্মোমিটার ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকতে হবে।