• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

বারি ফিরিঙ্গি-১ উদ্ভাবন: বহুমূত্র,কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বহু রোগের সমাধান

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯  

এটি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানীরা। ফেবেসি গোত্রভুক্ত এ মসলার নির্ধারিত কোনো জাত দেশে ছিলো না। দীর্ঘ ৬বছর গবেষণা করে এই মসলাটির একটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী। 

উদ্ভাবিত এ জাতের নাম দেয়া হয়েছে ‘বারি ফিরিঙ্গি-১’। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ বোর্ড জাতটি চাষাবাদের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কৃষকরা ফেবেসি গোত্রীয় ফিরিঙ্গির মিশ্রণ চাষাবাদ করছেন। যা রান্নায় পাঁচফোড়নের একটি উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয় বলেই ফিরিঙ্গির এ জাতটি উদ্ভাবন করলেন কৃষিবিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রে কর্মরত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোছা. শামসুন্নাহার মাহমুদার নেতৃত্বে ৮জন কৃষিবিজ্ঞানী ৬বছরের গবেষণায় বারি ফিরিঙ্গি-১ জাত উদ্ভাবন করেছেন। ফিরিঙ্গি বীজ অনেকটা মেথির মতো। কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য, যেমন গাছের বৃদ্ধি এবং পডের আকৃতির কারণে মেথির সঙ্গে ফিরিঙ্গির পার্থক্য রয়েছে।

গবেষক দলের প্রধান শাসুন্নাহার মাহমুদা বলেন, ফিরিঙ্গি গাছের পাতা এবং ফল মেথির মতোই ব্যবহৃত হয়। তবে আমাদের দেশে ফিরিঙ্গির পডসহ বীজ পাঁচফোড়নের মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভারতবর্ষে এটি ‘কাচুরী মেথি’ নামে পরিচিত এবং গাছটির পাতা শুকিয়ে বাজারজাতের জন্য বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয়। আমাদের দেশে এ ফসলটি এখনও বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হয় না। তিনি আরও বলেন, ফিরিঙ্গি বীজ নানা প্রকার তরকারি, আচার, চাটনি ইত্যাদি স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে বেশ উপযোগী। ফিরিঙ্গির যথেষ্ট ঔষধি গুণ রয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমশক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করে।

এ জাতের গাছের উচ্চতা ২২ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার। প্রাথমিক শাখার সংখ্যা ৫ থেকে ৬টি। প্রতি গাছে পডের সংখ্যা ৩৬০ থেকে ৪৬০টি। প্রতিটি পডে ৮ থেকে ১০টি বীজ থাকে। বীজগুলো শুস্ক ও হলুদাভ বাদামি বর্ণের। এ জাতে রোগবালাই নেই বললেই চলে। প্রতি এক হাজার বীজের ওজন ১.১ থেকে ১.২ গ্রাম। জাতটির জীবনকাল ৯০ থেকে ১০০ দিন। প্রতি হেক্টরে পডের উৎপাদন ১.৬ থেকে ১.৯ টন এবং বীজের ফলন ০.৪ থেকে ০.৫ টন।